ইসরাইলি হামলার জবাবে সোমবার আরও বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে পালটা হামলা চালিয়েছে ইরান।দেশটির ভূখণ্ড থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তের কথা জানিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীও। ইতোমধ্যে দেশটির মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলে সাইরেন বাজতে শুরু করেছে।
এর কিছুক্ষণ আগে উত্তর ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্ক সংকেত বেজে ওঠে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ইরানের শত শত ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গত দশ দিনে ইসরাইলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বেশিরভাগ ক্ষতি হয়েছে মধ্য ইসরাইলে। এছাড়া হাইফা শহরেও বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটি বারবার আঘাতের শিকার হয়েছে।
এর আগে, রোববার দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে একটি আঘাত হানলেও সাইরেন বাজেনি। তদন্তের পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানায়, সেটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রই ছিল।
চলমান পরিস্থিতিতে ৩০ হাজারের বেশি ইসরাইলি ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেছেন। কয়েকশ মানুষকে বিকল্প আশ্রয়ের সন্ধান নিতে হয়েছে। এসব জরুরি চাহিদা মেটাতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে প্রতিদিন ৪০ লাখেরও বেশি ডলার খরচ করতে হচ্ছে।
এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ইরানের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সামরিক নেতা।
ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে ইরানের কমান্ডার ইন চিফ আমির হাতামি একটি অপারেশন রুমে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন।
তিনি বলেন, “অতীতে যুক্তরাষ্ট্র যতবারই ইরানের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, তারা একটি উপযুক্ত জবাব পেয়েছে। এবারও তাই হবে।”
এদিকে ইরান সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ আবদুলরহিম মৌসভি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র নিজেই তাদের সেনাদের বিরুদ্ধে ‘যেকোনো পদক্ষেপ' নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। ইরান কখনই পিছু হটবে না।“