দুশ্চিন্তা আর উদ্বেগ কাটিয়ে ওঠা সহজ নয়। ঘুম ভেঙে উঠেই একরাশ দুশ্চিন্তা চেপে বসে মাথায়। সারা দিন অফিসের কাজে মানসিক চাপ আরও বাড়ে। চাকরি, স্বাস্থ্য, আর্থিক অবস্থা, ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে নানা রকম দুশ্চিন্তা লেগেই থাকে। কিছুতেই মন শান্ত হতে চায় না।
এই উদ্বেগ, দুশ্চিন্তার কারণে রাতে যেমন ঠিকমতো ঘুম হয় না, তেমনই দিনভর অশান্তি, উৎকণ্ঠা কাজ করে মনে।
মনকে চিন্তামুক্ত রাখতে অনেকেই অনেক ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এজন্য উপযোগী টিপসগুলো মেনে চলা উচিত। একইসঙ্গে আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে তার কাছে দোয়া করা উচিত। এখানে একটি দোয়া তুলে ধরা হলো, যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য করবেন।
চিন্তামুক্ত থাকার দোয়া
حَسْبِيَ اللهُ لا إله إلا هو عَليه تَوَكّلْتُ وهو رَبُّ الْعَرشِ العَظِيْمِ
উচ্চারণ : হাসবিয়্যাল্লা-হু লা-ইলাহা ইল্লা-হুওয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়াহুওয়া রাব্বুল আরশিল আযীম।
অর্থ : আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তার প্রতি ভরসা করেছি, তিনি মহান আরশের অধিপতি।
দোয়ার ফজিলত
হজরত আবু দারদা (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল বিকাল সাতবার সত্য দিলে (অর্থাৎ আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রেখে) এই দোয়া পড়বে, অথবা ফজিলতের প্রতি বিশ্বাস ছাড়া এমনিই দোয়াটি পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তাকে (দুনিয়া আখিরাতের) সব ধরনের চিন্তা থেকে হেফাজত করবেন। (আবু দাউদ)
বিপদ-আপদ এবং যেকোনো মুহূর্তে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা উচিত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মুমিনতো তারাই যাদের হৃদয় কম্পিত হয়, যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয় এবং তাঁর আয়াত তাদের কাছে তেলাওয়াত করা হয়, তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তারা তাদের প্রতিপালকের উপরেই নির্ভর করে’ ( সুরা আনফাল, আয়াত, ২)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যারা ঈমান আনে ও তাদের প্রতিপালকেরই উপর নির্ভর করে।’ ( সুরা, নাহল, আয়াত : ৯৯)
অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেন, ‘যারা ধৈর্য ধারণ করে এবং তাদের প্রতিপালকের ওপর নির্ভর করে।’ ( সূরা নাহল, আয়াত : ৪২)
কোরআনের অন্যত্র আরও বর্ণিত হয়েছে ‘মুমিনদের জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করা উচিৎ।’ ( সুরা ইবরাহীম, আয়াত, ১১)
আল্লাহর ওপর ভরসা করলে তিনিই বান্দার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান, বান্দার আর কিছুর প্রয়োজন হয় না। এ বিষয়ে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে আল্লাহকে ভয় করে তিনি তার জন্য বেরোনোর পথ বের করে দেন এবং তাকে এমন স্থান থেকে জীবিকা দেন যা সে ভাবতেও পারে না। আর যে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে তিনি তার জন্য যথেষ্ট হন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তার কাজ চূড়ান্তকারী। অবশ্যই আল্লাহ প্রত্যেক কাজের জন্য একটা পরিমাপ ঠিক করে রেখেছেন।’ (সুরা, তালাক, আয়াত : ২-৩)।