বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) গত ১৫ এপ্রিল অভিযান পরিচালনা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের ঢাকা কার্যালয় থেকে তিন সদস্যের একটি বিশেষ টিম এই অভিযান পরিচালনা করে। সেই ঘটনার এক মাস পেরোতেই আবারও বিসিবিতে হাজির দুদক।
আজ (শনিবার) দুপুর ১টার দিকে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে দুদক। যদিও তাদের আজকের অভিযান সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। এবার বিসিবিতে চার সদস্যের দল এসেছে দুদকের।
এর আগে বিসিবিতে অভিযান শেষে দুদকের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ‘মুজিববর্ষে বরাদ্দ ছিলো ১৫ কোটি টাকা। খরচ দেখানো হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। তবে এখন পর্যন্ত ৭ কোটি টাকার ডকুমেন্টস দেখাতে পেরেছে বিসিবি। আর দুই কোটি টাকা মুখে খরচের কথা বলেছে। সবমিলিয়ে ১৯ থেকে ২০ কোটি টাকা লোপাটের প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে। (ঘরোয়া প্রতিযোগিতা) তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে গত কয়েক বছর ২-৩টি দল অংশ নিতো। এবার নিয়েছে ৬০টি দল। এটা কি শুধুই এন্ট্রি ফি কমানোর জন্য নাকি অন্য কারণে, সেটা খতিয়ে দেখছে দুদক।’
এ ছাড়া বিপিএলের প্রথম ৮ আসরে টিকিট বিক্রি হয়েছিল ১৫ কোটি টাকা, আর একাদশতম আসরেই টিকিট বিক্রিতে আয় ১৩ কোটি টাকা। বিপিএল ও ঘরোয়া ক্রিকেটে কিছু গড়মিল নিয়ে তদন্ত চলছে বলে সেই সময় জানিয়েছিলেন দুদকের কর্মকর্তারা।