বৃহঃস্পতিবার, ১৪ই আগস্ট ২০২৫, ৩০শে শ্রাবণ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


সরছে রেললাইন, প্রশস্ত হচ্ছে যমুনা সেতু


প্রকাশিত:
১৪ আগস্ট ২০২৫ ১৬:১২

আপডেট:
১৪ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৪৩

ছবি সংগৃহীত

নতুন যমুনা রেলসেতু চালুর পর পুরোনো যমুনা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সেতুর রেললাইন অপসারণের কাজ চলছে। এতে প্রায় সাড়ে ১১ ফুট জায়গা বের হবে। যা যমুনা সেতুর সড়ক পথকে আরও প্রশস্ত করবে।

সেতু বিভাগ জানিয়েছে, এই বাড়তি জায়গা সড়কপথে যুক্ত করে যানজট কমানো এবং দুই পাড়ের চার লেনের মহাসড়কের সঙ্গে সেতুর প্রস্থ সমান করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নকশা ও ব্যয় নির্ধারণের জন্য দেশের ছয়টি প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন।

সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞদের নকশা ও মতামত পাওয়ার পরই সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু হবে। ছয় মাসের মধ্যেই কাজ শুরু সম্ভব।

বর্তমানে যমুনা সেতুর প্রতিটি লেন আন্তর্জাতিক মানের চেয়ে সরু, প্রায় ২০ ফুটের কিছু বেশি। কিন্তু থাকতে হয় ২৪ ফুট। ফলে ব্যস্ত সময়ে, বিশেষ করে ঈদ ও ছুটির দিনে, সেতুর দুই প্রান্তে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। গত ঈদুল আজহায় এক দিনে এ সেতু দিয়ে ৬৪ হাজারের বেশি যানবাহন পারাপারের রেকর্ড হয়েছে, যেখানে দৈনিক গড়ে চলাচল করে ২২ হাজার যান।

রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আহম্মদ হোসেন মাসুম জানিয়েছেন, তিন মাসের মধ্যে রেললাইন অপসারণ করা হবে। এর মধ্যে সেতু বিভাগের অন্যান্য প্রস্তুতিও শেষ হবে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, গত জুনের শেষ সপ্তাহে সিরাজগঞ্জ প্রান্ত থেকে রেললাইন খোলার কাজ শুরু হয়, প্রথমে নাট–বল্টু অপসারণ করা হয়, এখন চলছে রেললাইন তোলার কাজ।

গত মাসে যমুনা সেতুর সম্প্রসারণ ও রেললাইন অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনে যান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়) শেখ মইনউদ্দিন। তিনি বলেন, যমুনা সেতুর সড়কপথ সম্প্রসারিত হলে দুই পাড়ের চওড়া মহাসড়কের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যানবাহন চলতে পারবে। এতে যাতায়াত আরও সহজ হবে, যানজট কমবে।

সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে নতুন রেলসেতু নির্মাণের প্রকল্প নেওয়ার সময়ই জানা ছিল, সেটি হলে পুরোনো সেতুতে আর ট্রেন চলবে না। আগে থেকেই সড়ক সম্প্রসারণের প্রস্তুতি নেওয়া যেত, কিন্তু পূর্ববর্তী সরকার আগ্রহ দেখায়নি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যমুনা সেতুতে রেলপথ যুক্ত করেছিলেন বলে সরানোর পক্ষে ছিলেন না। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অনুমোদন দেয় এবং চলতি বছরের শুরুতে নকশা প্রণয়নের জন্য পরামর্শক নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয়।

সেতু বিভাগ বলছে, সম্প্রসারণ শেষ হলে সেতুর দুই প্রান্তে যানজট উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে, আর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ হবে আরও স্বস্তিদায়ক।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top