বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে জুন ২০২৫, ৫ই আষাঢ় ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


সরকারি সেবায় ঘুষ-দুর্নীতির শিকার ৩১.৬৭ শতাংশ নাগরিক


প্রকাশিত:
১৯ জুন ২০২৫ ১৬:৪৭

আপডেট:
১৯ জুন ২০২৫ ২২:৫০

ছবি সংগৃহীত

গত এক বছরে যেসব নাগরিক সরকারি সেবা গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে ৩১.৬৭ শতাংশ নাগরিক ঘুষ-দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। সেখানে পুরুষ ৩৮.৬২ শতাংশ এবং নারী ২২.৭১ শতাংশ মানুষ ঘুষের শিকার।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে করে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে। ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সময়ে দেশব্যাপী ‘সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস)’ পরিচালনা করা হয়। ৬৪ জেলার ১, হাজার ৯২০টি প্রাইমারি স্যাম্পলিং ইউনিট থেকে ৪৫ হাহার ৮৮৮টি খানার ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী মোট ৮৪ হাজার ৮০৭ জন নারী-পুরুষ উত্তরদাতার সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

জরিপে নাগরিকদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিরাপত্তা, সুশাসন, সরকারি সেবার মান, দুর্নীতি, ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার এবং বৈষম্য বিষয়ক এসডিজি ১৬ এর ছয়টি সূচকের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়েছে। জরিপের প্রশ্নপত্র জাতিসংঘ নির্ধারিত আন্তর্জাতিক মান ও পদ্ধতি অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে।

বিবিএস জানায়, সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নাগরিকদের সর্বাধিক ঘুষ-দুর্নীতির শিকার হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষে বিআরটিএ, ৬৩ দশমিক ২৯ শতাংশ মানুষ দুর্নীতির শিকার। এ ছাড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় ৬১ দশমিক ৯৪ শতাংশ, পাসপোর্ট অফিসে ৫৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ ও ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসে ৫৪ দশমিক ৯২ শতাংশ মানুষ সেবা নিতে গিয়ে ঘুষ ও দুর্নীতির শিকার হয়েছে।

গত দুই বছরে ১৬.১৬ শতাংশ নাগরিক কোনো না কোনো বিবাদ বা বিরোধের মুখোমুখি হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৮৩.৬০ শতাংশ নাগরিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আনুষ্ঠানিক অথবা অনানুষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার পেয়েছেন। এর মধ্যে ৪১.৩৪ শতাংশ আনুষ্ঠানিক যেমন– আদালত, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এবং ৬৮.৯৬ শতাংশ অনানুষ্ঠানিক যেমন– কমিউনিটি নেতা, আইনজীবী ইত্যাদির মাধ্যমে সেবা পেয়েছেন।

জরিপের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশের ১৯.৩১ শতাংশ জনগণ কোনো না কোনো ধরনের বৈষম্য বা হয়রানির শিকার হয়েছেন। নারীদের মধ্যে এ হার কিছুটা বেশি, যা ১৯.৬২ শতাংশ, যেখানে পুরুষদের মধ্যে তা ১৮.৯৭ শতাংশ। শহরাঞ্চলে বৈষম্যের হার ২২.০১ শতাংশ, গ্রামাঞ্চলের ১৮.০৭ শতাংশের তুলনায় বেশি। এ ক্ষেত্রে আর্থসামাজিক অবস্থা এবং লিঙ্গভেদে বৈষম্য/হয়রানির হার সর্বাধিক। নিজের পরিবারের মধ্যে ৪৮.৪৪ শতাংশ, গণপরিবহন/উন্মুক্ত স্থানে ৩১.৩০ শতাংশ এবং কর্মস্থলে ২৫.৯৭ শতাংশ বৈষম্য/হয়রানির ঘটনা সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে মাত্র ৫.৩৫ শতাংশ ভুক্তভোগী এসব ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট করেছেন।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top