ইসিকে ২ মিলিয়ন ডলার সহায়তায় গর্বিত অস্ট্রেলিয়া
প্রকাশিত:
১৮ জুন ২০২৫ ২২:০৬
আপডেট:
১৯ জুন ২০২৫ ০২:৫৪

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউএনডিপির অর্থায়নে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বাস্তবায়নাধীন ১৮ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যালট প্রকল্পে ২ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এক অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এবং অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইলি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমরা ইসি গঠনের পর থেকেই ইউএনডিপির সহায়তা চেয়ে আসছি। তারা প্রথম থেকেই সহযোগিতার হাত বাড়াচ্ছে এবং ব্যালট প্রজেক্টে মোট ১৮.৫৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে। অস্ট্রেলিয়া তাদের মুদ্রায় ২ মিলিয়ন ডলার সহায়তার কথা জানিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য ১৬টি কমপোনেন্ট রয়েছে। এই ১৬টির মধ্যে অর্থায়নের বিষয়ে ইউএনডিপির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ২ মিলিয়ন ডলারের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমরা আশা করি, এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অর্থায়নের জন্য দাতাদের সহযোগিতা পাওয়া যাবে। প্রকল্পটি ২০২৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে জানান তিনি।’
তিনি বলেন, ‘এই প্রজেক্টের আওতায় ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, অ্যাওয়ারনেস, ট্রেনিং, ইন্সটিটিউশনাল ফ্রেমওয়ার্ক সহ ১৬টি কম্পোনেন্ট পরিচালিত হবে। আশা করি এটার বেস্ট ইউটিলাইজেশন হবে।’
আখতার আহমেদ বলেন, ‘ভোটার রেজিস্ট্রেশন প্রসেসে তারা প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের ল্যাপটপ, স্ক্যানার, ক্যামেরা, অফিস মেশিন দিয়ে সহযোগিতা করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এই প্রকল্পের বিষয়ে আজ এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে।’
বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইলি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং অংশীদার। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে অগ্রসর হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করার সুযোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আজ আমরা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ব্যালট প্রকল্পে সরাসরি সহায়তা করার জন্য ২ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিতে পেরে আনন্দিত। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমাদের ক্ষুদ্র অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে আমরা গর্বিত।’
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার জানান, ‘গত বছর বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠনের কিছুদিন পরেই তারা জাতিসংঘের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সহায়তা চায়। এরপর জাতিসংঘ একটি ‘নিড অ্যাসেসমেন্ট মিশন’ প্রেরণ করে, যা চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে এসে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করে এবং জাতিসংঘ কী ধরনের কারিগরি সহায়তা দিতে পারে, তার সীমারেখা নির্ধারণে কাজ করে।’
তিনি বলেন, ‘গত কয়েক মাসে এই সুপারিশগুলো একটি প্রকল্পে রূপান্তরিত হয়েছে, যা ‘দ্য ব্যালট প্রজেক্ট’ নামে পরিচিত। জাতিসংঘ, নির্বাচন কমিশন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এই প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করছে।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া এ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে কর্মসূচির প্রথম অংশীদার ও প্রথম দাতা হিসেবে এগিয়ে এসেছে। আমরা এতে খুবই খুশি। এ কর্মসূচি জাতিসংঘ, ইউএনডিপি, ইউনেস্কো এবং ইউএন উইমেন দ্বারা বাস্তবায়িত হবে।’
স্টেফান লিলার বলেন, ‘আমরা অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদারদের সাথেও আলোচনা করছি। আশা করছি অন্যরাও বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে আসবে, যাতে বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচন আয়োজন করা যায়।’
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: