চুলের যত্নে কোন ভিটামিন কীভাবে কাজ করে
প্রকাশিত:
১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:২৯
আপডেট:
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৫:০৬

চুল উঠে যাওয়ায় চিন্তা বাড়ছে? সমাধান হতে পারে খাবারে। সঠিক যত্নের পাশাপাশি পুষ্টিরও দরকার। ২০১৮ সালে ‘ডার্মাটোলজি অ্যান্ড থেরাপি’ নামক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা বলছে— উপযুক্ত পুষ্টির অভাব হলে চুল ঝরতে পারে। সে জন্য ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার আপনার চুলকে উজ্জ্বল করে তুলবে।
এখন জানা যাক, কোন ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
ভিটামিন 'এ'
রুক্ষ চুলের সমস্যা যাদের রয়েছে, তাদের জন্য ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধ খাবার খেতেই হবে। ভিটামিনটি সেবামের ক্ষরণ বাড়িয়ে চুল স্বাভাবিকভাবে নরম ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
সেবাম গ্রন্থি নিঃসৃত প্রাকৃতিক তেল চুল আর্দ্র ও নরম রাখতে এবং রুক্ষ ভাব দূর করতে সাহায্য করে। সে কারণেই আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যুক্ত করা প্রয়োজন গাজর, ডিম, রাঙাআলু ও ক্যাপসিকাম।
ভিটামিন 'সি'
চুলের ঘাটতি পূরণেই ভিটামিন 'সি' সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। কারণ রোগপ্রতিরোধে সাহায্যকারী ভিটামিন 'সি' চুল ও ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখে। আর চুলের অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান হলো কোলাজেন নামক প্রোটিন। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, দূষণ, সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগনি রশ্মির প্রভাবে এবং বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীরে কোলাজেনের মাত্রা কমতে থাকে। যে কোনো লেবু, বেলপেপার, ব্রকোলি, টমেটো এবং বেরিজাতীয় ফলে ভিটামিনটি মেলে।
ভিটামিন 'ডি'
চুল ঝরার কারণ কিন্তু দুর্বল হেয়ার ফলিকলও হতে পারে। ভিটামিন 'ডি' চুলের ফলিকল মজবুত করতে সাহায্য করে। হাড় মজবুত রাখার জন্যই এ ভিটামিনের গুণাগুণের কথা সবাই জানেন। তবে চুল গজাতেও এ ভিটামিন জরুরি।
একাধিক গবেষণায় উঠে এসেছে— অ্যালোপেসিয়া এরিয়েটার মতো অবস্থায় যখন চুল উঠে যায়, ভিটামিন 'ডি' চুল গজাতে সাহায্য করে। ডিমের কুসুম, তৈলাক্ত মাছ, দুধে মেলে ভিটামিন 'ডি'। সূর্যালোকের উপস্থিতিতেও ত্বকে ভিটামিন 'ডি' তৈরি হয়।
ভিটামিন 'ই'
চুলের সুরক্ষাবর্ম হিসাবে কাজ করে ভিটামিন 'ই'। শরীরে তৈরি হওয়া ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে অক্সডেটিভ স্ট্রেস হয়। ভিটামিন 'ই' তা কমাতে সাহায্য করে। এবং কোষ পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। ক্ষতিগ্রস্ত চুল মেরামত করে। বিভিন্ন রকম বাদাম, ব্রকোলি, আম, রাঙাআলু, সবুজ সবজিতে ভিটামিনটি মেলে।
ভিটামিন 'বি৭'
চুলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো কেরাটিন নামে এক ধরনের প্রোটিন। বায়োটিন বা ভিটামিন বি৭-এর অভাব কেরাটিনের উৎপাদনে প্রভাব ফেলে। এই ভিটামিন গ্লুকোজ, ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যামাইনো অ্যাসিডের বিপাকে সাহায্য করে। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে ৩০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিনের প্রয়োজন পড়ে। বাদাম, শাক, বীজ, রাঙাআলু, দুধ, দই নিয়মিত খেলে ভিটামিনটির অভাব হবে না।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: