শনিবার, ২৮শে জুন ২০২৫, ১৪ই আষাঢ় ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


আদা-গাজরের রস খেলে কী হয়?


প্রকাশিত:
২৮ জুন ২০২৫ ১০:৫২

আপডেট:
২৮ জুন ২০২৫ ১৫:০১

ছবি সংগৃহীত

অস্বীকার করার উপায় নেই যে আমারা বেশিরভাগই দিন শুরু করি এক কাপ গরম চা বা কফি দিয়ে। আমাদের শরীরের আসলে কী পুষ্টির প্রয়োজন তা নিয়ে খুব একটা চিন্তা থাকে না। তবে এই অভ্যাসের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব থাকতে পারে যা আমাদের পক্ষে ভালো নয়। তাজা এবং পুষ্টিকর কিছু পান করা যেতে পারে, যা আমাদের জন্য সত্যিই ভালো। এটি হতে পারে গাজর এবং আদার রস। এই ঝামেলামুক্ত পানীয় তৈরির জন্য মাত্র দুটি উপাদান প্রয়োজন। এটি ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের একটি শক্তিশালী উৎস। চলুন জেনে নেওয়া যাক, প্রতিদিন গাজর এবং আদার রস পান করার ৬টি স্বাস্থ্য উপকারিতা-

১. বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

নিউট্রিশন রিসার্চ অ্যান্ড প্র্যাকটিসে প্রকাশিত ২০২৪ সালের গবেষণা অনুসারে, গাজরে প্রচুর বিটা-ক্যারোটিন থাকে, যা শরীর ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত করে। এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তির জন্য প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি। গাজর এবং আদার রস নিয়মিত খেলে তা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। ভিটামিন এ চোখের শুষ্কতাও কমায়, যা গ্রীষ্মকালে বেশি দেখা যায়। দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার ফলে সৃষ্ট প্রদাহ এবং ফোলাভাব কমাতে কাজ করে আদা।

২. হজমশক্তি উন্নত করে এবং পেট ফাঁপা কমায়

বহু প্রজন্ম ধরে বদহজম, বমি বমি ভাব এবং পেট ফাঁপার জন্য আদা একটি বিশ্বস্ত ঘরোয়া প্রতিকার। এর সঙ্গে গাজরের ফাইবার এবং প্রাকৃতিক মিষ্টি যোগ হলে একটি হজম টনিক তৈরি হয় যা মৃদু কিন্তু কার্যকরভাবে কাজ করে। খাবারের পরে এই রস পান করলে পিত্ত উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং পুষ্টির শোষণ উন্নত হয়। মাঝে মাঝেই যদি খাওয়ার পরে পেট ফাঁপা বোধ করেন, তাহলে এই পানীয় আপনার জন্য উপকারী হতে পারে।

৩. ঋতু পরিবর্তনের সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে

উভয় উপাদানই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গাজর ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নিয়ে আসে, অন্যদিকে আদার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং প্রদাহ বিরোধী উপকারিতা রয়েছে। নিয়মিত এই রস পান করলে, বিশেষ করে বর্ষা বা শীতের মাসগুলোতে, শরীরকে সাধারণ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং অসুস্থতার পরে দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে সাহায্য করে। এটি সাপ্লিমেন্ট ছাড়াই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর একটি সহজ উপায়।

৪. ত্বকের উন্নতি করে

এই রস কেবল আপনার অন্ত্র এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য নয়; এটি ত্বকের মান উন্নত করতেও সাহায্য করে। গাজর এবং আদা উভয়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টই ফ্রি র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে, যা বার্ধক্যের লক্ষণকে বিলম্বিত করে। ২০২১ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, আদা রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে, এর প্রদাহ-বিরোধী প্রভাবের কারণে ব্রণ এবং লালচেভাব কমাতে সম্ভাব্যভাবে সাহায্য করে। এই দুই খাবারের মিশ্রণ ত্বককে ভেতর থেকে হাইড্রেট করে।

৫. প্রাকৃতিক ডিটক্স এবং লিভারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি

গাজর এবং আদা উভয়ই লিভারের স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০১২ সালের এক গবেষণা অনুসারে, আদা রক্ত ​​সঞ্চালন এবং ঘামকে উদ্দীপিত করে, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সহায়তা করে। ২০০৩ সালের একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, গাজর চর্বি ভাঙতে এবং পিত্ত উৎপাদনে সহায়তা করে। আপনি যদি দৈনন্দিন জীবনে আরও ডিটক্স-বান্ধব অভ্যাস যোগ করতে চান, তাহলে সকালের রুটিনে এই পানীয় যোগ করতে পারেন।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top