রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউতে পক্ষভুক্ত হতে ৬৯ আইনজীবীর আবেদন
প্রকাশিত:
১৪ আগস্ট ২০২৫ ১৮:২৫
আপডেট:
১৪ আগস্ট ২০২৫ ২০:৪৩

দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউতে আইনজীবীদের স্ট্যাটাস চেয়ে ৬৯ জন আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির আবেদন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে বিষয়টি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়। চেম্বার আদালতের বিচারপতি ফারাহ্ মাহবুব বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় আবেদনটি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।
আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এই মামলায় সংবিধানের মৌলিক কাঠামো এবং রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাঠামোর ভারসাম্য রক্ষা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জড়িত। আমি আইনজীবীদের আবেদন প্রধান বিচারপতির কোর্টে বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করব।
গত ৩০ জুলাই দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষ হয়। এখন রিভিউ আবেদনটি রায়ের পর্যায়ে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ঠিক করে রায় দেন আপিল বিভাগ। যার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয় ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর। সেই রায়ে বলা হয়, ১. সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, সেহেতু রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের শুরুতেই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুসারে রাখতে হবে।
২. জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যরা রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ২৪ নম্বর থেকে ১৬ নম্বরে সরকারের সচিবদের সমমর্যাদায় উন্নীত হবেন। জুডিশিয়াল সার্ভিসের সর্বোচ্চ পদ জেলা জজ। অন্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে সচিবরা রয়েছেন।
৩. অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যদের অবস্থান হবে জেলা জজদের ঠিক পরেই, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ১৭ নম্বরে।
রায়ে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্র বা অন্য কোনো কার্যক্রমে যেন এর ব্যবহার না হয়।
প্রসঙ্গত, রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে তৈরি করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। ২০০০ সালে এটি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত এ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান। ওই রিটের ওপর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ওই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে বাতিল করে আট দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: