মুরাদনগরে ধর্ষণ : হাইকোর্টে পুলিশ সুপারের প্রতিবেদন
প্রকাশিত:
২৭ জুলাই ২০২৫ ১২:০৪
আপডেট:
২৭ জুলাই ২০২৫ ১৮:২৭

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে ধর্ষণের শিকার নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার আদেশ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি)।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুমিল্লার ধর্ষণের শিকার নারী মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সরাসরি তত্ত্বাবধানে রয়েছে। মুরাদনগরের থানার টহল দল দিন এবং রাতে নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এ ঘটনায় মোট মামলা হয়েছে দুটি। মামলাট তদন্ত চলমান রয়েছে।
রোববার (২৭ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
এর আগে গত ২২ জুলাই কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে ধর্ষণের শিকার নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার আদেশ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় কুমিল্লার পুলিশ সুপারকে তলব করেন হাইকোর্ট। আগামী ১২ আগস্ট তাকে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা কথা রয়েছে।
গত ২৯ জুন কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে ধর্ষণের শিকার নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর নির্যাতনের ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন আদালত।
বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মীর এ কে এম নুরুন্নবী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
এদিকে কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামের ফজর আলী একজন প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এলাকার লোকজনের হাতে আটক ও প্রহৃত হন। পরবর্তী সময়ে আহত ফজর আলী সেখান থেকে পালিয়ে যান ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু লোক তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
সংবাদ পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করে। ভিকটিমের লিখিত এজহারের ভিত্তিতে মুরাদনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়।
এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মুরাদনগর থানা পুলিশ তিনজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৭ জুন বিকেলে এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। তার স্বামী দুবাই প্রবাসী।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে আসেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ফজর আলী (৩৮) নামের এক ব্যক্তি তাঁর বাবার বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: