মিরপুরে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২২ লাখ টাকা ও ডলার ছিনতাই: রিমান্ডে ৫ আসামি
প্রকাশিত:
১৮ জুন ২০২৫ ১৬:৩২
আপডেট:
১৮ জুন ২০২৫ ২০:১২

রাজধানীর মিরপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীর ২২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৮ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান, সৈকত হোসেন, দিপু মৃধা, মো. সোহাগ হাসান, জলিল মোল্লা ও পলাশ আহমেদ।
এর আগে তাদেরকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর বিভাগের উপ-পরিদর্শক নাজমুল হোসেন ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী আকবর হোসেন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের টাইম দেখেন। ময়মনসিংহ ও আশুলিয়া থেকে একই টাইমে কীভাবে গ্রেপ্তার করা হলো? এছাড়া গত ১৫ তারিখ দীপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জলিল মোল্লার কাছ থেকে কোনো কিছু উদ্ধার হয়নি। পলাশের কাছ থেকেও কিছু উদ্ধার দেখাতে পারেনি। রিমান্ড আবেদনে জব্দকৃত জাল টাকা উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে। এখানে জাল টাকা কোথা থেকে আসবে? মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুপারম্যানের মতো একদিনেই সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু মামলাটা ভালোভাবে লিখতে পারেননি।
পরে বিচারক তদন্ত কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বলেন, আইনজীবী যে কথা বলেছে, তার জবাব কীভাবে দেবেন? আশুলিয়া থেকে ময়মনসিংহ যেতে কতক্ষণ লাগে? একই সময়ে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন?
আদালতের এসব প্রশ্নের বিপরীতে তদন্ত কর্মকর্তা কোনো জবাব দিতে পারেননি। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার ভুক্তভোগী রাসেলের মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে মাহমুদ ফরেন এক্সচেঞ্জ নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে। ভুক্তভোগীর শ্যালক মামলার বাদী এ প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করেন। গত ২৭ মে সকাল সাড়ে ৯টায় বাদী ও ভুক্তভোগী রাসেল একসঙ্গে ২১ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৫ টাকা, ৩ হাজার ৫৫০ মার্কিন ডলার ও ১১ হাজার ৫০০ রিয়াল একটি ব্যাগে নিয়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ৯টা ৪০ মিনিটে মিরপুর মডেল থানাধীন সেকশন-২ এলাকায় শেরে বাংলা ন্যাশনাল স্টেডিয়াম ও ফায়ার সার্ভিসের মাঝের গলির মাথায় পৌঁছা মাত্রই তিনটি মোটরসাইকেল যোগে অজ্ঞাতনামা ৭ থেকে ৮ জন ব্যক্তি তাদের পথরোধ করে এবং একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাদীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তার হাতে থাকা টাকার ব্যাগ জোর করে ছিনিয়ে নেয়। পরে একজন ব্যক্তি পিস্তল দিয়ে ফাঁকা গুলি করে এবং অন্য একজন ব্যক্তি ধারালো চাকু দিয়ে বাদীর কোমরের বাম পাশে আঘাত করে। পরবর্তী সময়ে বাদী চিকিৎসা শেষে মিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: