শুল্কের আড়ালে নরওয়ের অর্থমন্ত্রীকে নোবেল পুরস্কারের প্রশ্ন ট্রাম্পের
প্রকাশিত:
১৪ আগস্ট ২০২৫ ২০:২৩
আপডেট:
১৪ আগস্ট ২০২৫ ২৩:২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মাসে নরওয়ের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে আলোচনা করার সময় নোবেল শান্তি পুরস্কার সম্পর্কেও প্রশ্ন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার নরওয়ের বাণিজ্য বিষয়ক দৈনিক ডাগেন্স নেয়ারিংসলিভের এক প্রতিবেদনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রতি ঝোঁক নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েল, পাকিস্তান এবং কম্বোডিয়াসহ কয়েকটি দেশ ট্রাম্পকে বিভিন্ন পক্ষের মাঝে শান্তি চুক্তি কিংবা যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করার ঘটনায় নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। এমনকি ট্রাম্প নিজেও বলেছেন, হোয়াইট হাউসের পূর্বসূরী চারজন প্রেসিডেন্টের মতো তিনিও নরওয়ের নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে ডাগেন্স নেয়ারিংসলিভ বলেছে, ‘‘নরওয়ের অর্থমন্ত্রী জেন্স স্টলটেনবার্গ অসলোয় রাস্তায় হাঁটছিলেন, সেই সময় হঠাৎ করেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে কল করেন। এ সময় তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার ও শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে চান।’’
তবে এই বিষয়ে হোয়াইট হাউস, নরওয়ের অর্থ মন্ত্রণালয় এবং নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রত্যেক বছর শত শত প্রার্থীকে বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। মনোনীতদের মধ্যে থেকে বিজয়ীকে নির্বাচিত করে নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি। এই কমিটির পাঁচ সদস্যকে নিয়োগ দেয় নরওয়ের সংসদ। উনিশ শতকের সুইডিশ শিল্পপতি আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছে অনুযায়ী, প্রত্যেক বছরের অক্টোবরে অসলোয় নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।
দেশটির ওই দৈনিক বলেছে, ট্রাম্প যে এবারই প্রথম পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সাবেক মহাসচিব ও নরওয়ের অর্থমন্ত্রী স্টলটেনবার্গের সঙ্গে নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে আলোচনা করেছেন, বিষয়টি তেমন নয়। এর আগেও স্টলটেনবার্গের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এই পুরস্কারের বিষয়ে কথা বলেছিলেন।
তবে স্টলটেনবার্গ বলেছেন, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস স্টোরের সঙ্গে বৈঠকের আগে বাণিজ্য শুল্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার জন্য আমাকে কল করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ট্রাম্প নোবেল পুরস্কারকে আলোচনার বিষয় করেছেন কি না, এমেন প্রশ্নের জবাবে জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ‘‘আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়বস্তু নিয়ে বেশি বলতে পারব না।’’ তিনি বলেন, কলে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ও বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ারসহ হোয়াইট হাউসের কয়েকজন কর্মকর্তা ছিলেন।
গত ৩১ জুলাই নরওয়ের পণ্যে ১৫ শতাশং শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে হোয়াইট হাউস। যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সমান। বুধবার স্টলটেনবার্গ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা শুল্ক নিয়ে এখনও হোয়াইট হাউসের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে নরওয়ে।
সূত্র: রয়টার্স।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: