ইসরায়েলের সঙ্গে ১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ফিরে যেতে প্রস্তুত সিরিয়া
প্রকাশিত:
৪ জুলাই ২০২৫ ২১:২২
আপডেট:
৫ জুলাই ২০২৫ ০১:৫৮

১৯৭৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে করা চুক্তি পুনরায় বাস্তবায়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছে সিরিয়ার আল-শারা নেতৃত্বাধীন সরকার।
আরব নিউজ জানিয়েছে, শুক্রবার (৪ জুলাই) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে ফোনালাপের পর এক বিবৃতিতে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানি ‘১৯৭৪ সালের নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করার আকাঙ্ক্ষা’ ব্যক্ত করেন।
সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি ‘স্বাভাবিকীকরণ’ চুক্তির দিকেও ওয়াশিংটন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে ট্রাম্পের দূত থমাস ব্যারাক বলেছিলেন, এখন উভয়ের মধ্যে শান্তি প্রয়োজন।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে কথা বলার সময় ব্যারাক চলতি সপ্তাহে নিশ্চিত করেছেন, সিরিয়া এবং ইসরায়েল তাদের সীমান্ত সংঘাতের অবসান ঘটাতে মার্কিন-মধ্যস্থতায় ‘অর্থপূর্ণ আলোচনায়’ যুক্ত হচ্ছে।
ডিসেম্বরে দীর্ঘদিনের সিরিয়ার শাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর ইসরায়েল বাফার জোনে সেনা মোতায়েন করে। সেই সঙ্গে সিরিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে শত শত বিমান হামলা চালানো হয় এবং দেশটির দক্ষিণে আরও গভীরে অনুপ্রবেশ চালায় ইসরায়েলি সেনারা।
সিরিয়া এবং ইসরায়েল ১৯৪৮ সাল থেকে যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় ইসরায়েল সিরিয়ার কাছ থেকে গোলান মালভূমির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ দখল করে। তারপর ১৯৮১ সালে এটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়, কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটিকে কখনো স্বীকৃতি দেয়নি।
আরব নিউজ জানিয়েছে, ১৯৭৩ সালের যুদ্ধের এক বছর পর ‘বিচ্ছিন্নতা রেখার’ বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছায় সিরিয়া ও ইসরায়েল। চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলি-অধিকৃত ভূখণ্ডের পূর্বে ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ জাতিসংঘ-পরিচালিত বাফার জোন তৈরি করা হয়।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার গত সোমবার বলেছেন, সিরিয়া এবং প্রতিবেশী লেবাননের সঙ্গে ‘সম্পর্ক স্বাভাবিক’ করার ক্ষেত্রে তাদের আগ্রহ রয়েছে। তবে তিনি বলেন, ভবিষ্যতের যে কোনো চুক্তির অধীনে গোলান মালভূমি ‘ইসরায়েলের অংশ থাকবে’।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: