বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে আগস্ট ২০২৫, ১৩ই ভাদ্র ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


টিকাদানের ফলে বছরে ৯৪ হাজার শিশুর মৃত্যু রোধ হয়েছে


প্রকাশিত:
২৮ আগস্ট ২০২৫ ১৫:১৫

আপডেট:
২৮ আগস্ট ২০২৫ ১৯:০৩

ছবি ‍সংগৃহিত

গত দুই দশকে ৫ কোটির বেশি শিশুকে টিকা দেওয়ায় বছরে ৯৪ হাজার শিশুর মৃত্যু প্রতিরোধে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন। তারা জানায়, ৫ বছরের নিচে শিশু মৃত্যুহার ৮১.৫ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। যা বাংলাদেশ, নেপাল, রুয়ান্ডা, ভিয়েতনাম, ইথিওপিয়া ও মালাউইসহ ৬টি দেশে শিশু মৃত্যুহার কামিয়ে আনবার রেকর্ড অর্জন করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘বাংলাদেশে টিকা কার্যক্রমের সাফল্য, বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ এবং করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন— স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক প্রফেসর মো. রাফিকুল ইসলাম, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডা. নিজামুদ্দিন আহমেদ, ইউনিসেফের প্রতিনিধি ফারহানা রহমান ও রাড্ডার নির্বাহী পরিচালক নাসরিন সুলতানা।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের প্রতিটি অঞ্চলে টিকাদানের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। ফলে মা ও শিশুস্বাস্থ্যের ব্যাপক উন্নয়ন সাধন হয়েছে এবং মা ও শিশু মৃত্যুহার কমেছে।

তারা আরও জানান, টিকায় বিনিয়োগকৃত প্রতি ১ ডলারে ২৫.৪ ডলার রিটার্ন আসে, যা প্রমাণ করে টিকা স্বাস্থ্য ও উন্নয়নের অন্যতম সেরা বিনিয়োগ (সূত্র স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়/ইউনিসেফ টিকাদান বিনিয়োগ কেস ২০২৩)। বাংলাদেশ পোলিও নির্মূল, মাতৃ ও নবজাতক ধনুষ্টঙ্কার (এমএনটি) নির্মূল এবং হেপাটাইটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। কিশোরী মেয়েদের মধ্যে ৯৩ শতাংশ এইচপিভি টিকা কভারেজ অর্জিত হয়েছে। যা মহিলাদের সার্ভিকাল ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।বাংলাদেশ সরকার আগামী ১২ অক্টোবর ২০২৫ সাল থেকে টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে নতুন টিকা টিসিভি ক্যাম্পেইন চালু করতে যাচ্ছে এবং ২০২৬ সালে আরও নতুন টিকা ইপিআই কর্মসূচির আওতায় যুক্ত হবে।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং ‘ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন’-এর যৌথ অ্যাডভোকেসি প্রোজেক্ট এর আওতায় সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) এর সহায়তায় দেশের বিভিন্ন জেলায় টিকাদান কার্যক্রমের বর্তমান অবস্থা, প্রতিবন্ধকতা এবং করণীয় বিষয়ে এই প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়।

ইপিআই কার্যক্রম বাস্তবায়নে কিছু চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ জানানো হয়, টিকাদান প্রকল্পে বরাদ্দকৃত জনবলের প্রায় ৪০ শতাংশ পদ এখনও শূন্য। ৪৫ জেলায় টিকাদান কর্মী নিয়োগ এখনও সম্পন্ন হয়নি। জেলা পর্যায়ের কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ানের ৫৩ শতাংশ পদ শূন্য রয়েছে। বাজেট বরাদ্দে দেরি এবং ৫ম এইচপিএনেসপি বাতিল এবং তার পরিবর্তে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করা হয়েছে যা এখনও অনুমোদিত হয়নি।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top