সচেতন হওয়ার আহ্বান স্বাস্থ্য উপদেষ্টার
মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর হার কমছে, ঝুঁকি বাড়াচ্ছে গুঁড়া দুধ
প্রকাশিত:
১৮ আগস্ট ২০২৫ ২০:২৭
আপডেট:
১৮ আগস্ট ২০২৫ ২২:৩৭

দেশে শিশুদের মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর হার কমছে। এক দশকে ৬৫ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৫৮ শতাংশে। এ অবস্থায় শিশুদের বিকল্প খাবার হিসেবে গুঁড়া দুধে ঝুঁকে পড়া উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, গুঁড়া দুধ খাওয়াতে উদ্বুদ্ধ না করে মাতৃদুগ্ধের ওপর জোর দিতে হবে। সচেতনতা তৈরি ছাড়া এই সংকট কাটানো সম্ভব নয়।
রোববার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন (বিবিএফ)। এবারের প্রতিপাদ্য– ‘মাতৃদুগ্ধ পানকে অগ্রাধিকার দিন, টেকসই সহায়ক পরিবেশ গড়ে তুলুন।’
নূরজাহান বেগম বলেন, মাতৃদুগ্ধ নিশ্চিত করা শুধু সরকারের নয়, ধর্মীয় নেতা থেকে শুরু করে এনজিওকর্মী, মিডিয়া– সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। খুতবায় এ বিষয়ে কথা বলা যেতে পারে, মন্দির ও গির্জায় সচেতনতার বার্তা দেওয়া যেতে পারে। মিডিয়াও জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে ধারণক্ষমতা ২ হাজার ৬০০ হলেও প্রতিদিন রোগীর চাপ প্রায় ৫ হাজার। দেশে ৬৫ শতাংশ প্রসব হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এবং ৩৫ শতাংশ গৃহে হয়। ফলে ধাত্রীদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।
আলোচনায় নবজাতকের যত্নে পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়ার প্রস্তাবও উঠে আসে। এ বিষয়ে নূরজাহান বেগম বলেন, যদি এই ছুটি দিতে হয়, তবে বাবার উপস্থিতি ও দায়িত্ব পালনের লিখিত নিশ্চয়তা থাকতে হবে, নইলে এর বাস্তব সুফল মিলবে না।
সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সরোয়ার বারী বলেন, মেধাসম্পন্ন জাতি চাইলে মাতৃদুগ্ধ নিশ্চিত করতেই হবে। বিকল্প কোনো পথ নেই।
এ ছাড়া কর্মশালায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমদ, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নাজমুল হোসেন, বিবিএফ চেয়ারম্যান ডা. এস কে রায় ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. সারিয়া তাসনিম বক্তব্য দেন।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: