বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


ক্যান্সারে নারীদের মৃত্যুর প্রধান কারণ জরায়ু-স্তন ক্যান্সার


প্রকাশিত:
২০ জানুয়ারী ২০২৫ ১৬:৫০

আপডেট:
১ মে ২০২৫ ১২:১৬

ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশে নারীদের ক্যান্সারে মৃত্যুর প্রধান কারণ জরায়ুমুখ ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার। তবে মরণব্যাধি এ দুই ধরনের ক্যান্সার নিয়মিত পরীক্ষা ও শনাক্ত হলে ভ্যাকসিন নেওয়ার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কোষাধ্যক্ষ ও দেশের প্রখ্যাত গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার। তবে দেরিতে রোগ শনাক্ত হলে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া কঠিন হয় বিধায় মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায় বলে মনে করেন তিনি।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিএসএমএমইউয়ে ‘জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ সপ্তাহ ২০২৫’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান প্রখ্যাত এই গাইনি বিশেষজ্ঞ।

অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বলেন, স্তন ক্যান্সার ও জরায়ুমুখ ক্যান্সার পরীক্ষা ও ভ্যাকসিন নেওয়ার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব। স্তন ক্যান্সার পরীক্ষার জন্য সিবিই, জরায়ুমুখ ক্যান্সার পরীক্ষার জন্য ভায়া টেস্ট করা অত্যন্ত জরুরি। সঙ্গে সঙ্গে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে নারীদের ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

তিনি জানান, বিশ্বে নারীদের যত ধরনের ক্যান্সার হয় তার মধ্যে জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার অন্যতম। জরায়ুমুখ ক্যান্সার বিশ্বজুড়ে নারীদের ক্যান্সারের মধ্যে চতুর্থতম এবং ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর চতুর্থতম শীর্ষ কারণ। এ ছাড়া স্তন ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী এবং বাংলাদেশে উভয় ক্ষেত্রেই শীর্ষ স্থানীয় ক্যান্সার। বাংলাদেশে নারীদের ক্যান্সারে মৃত্যুর প্রধানতম দুটি কারণ হলো জরায়ুমুখ ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার। এ দুটি ক্যান্সার গুরুত্বপূর্ণ নন-কমিউনিকেবল ডিজিসেস হিসেবে বিবেচিত।

এসময় বক্তারা জানান, দেশে প্রতি বছর নতুনভাবে প্রায় ৮ হাজার ২৬৮ জন নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং ৪ হাজার ৯৭১ জন নারী মারা যায়। একইভাবে দেশে প্রতি বছর নতুনভাবে প্রায় ১৩ হাজার ২৮ জন নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং ৬ হাজার ৭৮৩ জন নারী মারা যায়। জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর বেঁচে থাকা অনেকাংশে নির্ভর করে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় ও কার্যকরী চিকিৎসা প্রদানের ওপর। আর দেরিতে রোগ শনাক্তকরণ হলে সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা দেওয়া কঠিন বিধায় মৃত্যুঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

তারা বলেন, দেশে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই এসব রোগের চিকিৎসা সুবিধা সীমিত ও ব্যয়বহুল। প্রাথমিক পর্যায়ে জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব।

গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আরও বলেন, দেশে বর্তমানে ত্রিশোর্ধ বয়সী নারী রয়েছেন প্রায় ৩ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার জন। এ হিসাবে বাংলাদেশে অন্তত ৬ লাখ ৫৫ হাজার থেকে ৯ লাখ ৮২ হাজারের মতো নারী ক্যান্সারপূর্ব/ক্যান্সার অবস্থায় আছেন। জরায়ুমুখ ক্যান্সার কমানোর জন্য ক্যান্সার পূর্বাবস্থা/ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের খুঁজে বের করে তাদের চিকিৎসা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এস্টাবলিশমেন্ট অব ন্যাশনাল সেন্টার ফর সার্ভিক্যাল অ্যান্ড ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রিনিং অ্যান্ড ট্রেনিং অ্যাট বিএসএমএমইউ প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা, গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শিরিন আক্তার বেগম, অধ্যাপক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস, অধ্যাপক ডা. ফওজিয়া হোসেনসহ অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগ, ফিটোম্যাটানাল মেডিসিন বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থীরা।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top