অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ডের যমজ সন্তানের বাবা ইলন মাস্ক?
প্রকাশিত:
১৪ মে ২০২৫ ১৮:৪৫
আপডেট:
১৪ মে ২০২৫ ২২:০২

মা দিবসের দিনে জোড়া পায়ের ছবি প্রকাশ্যে এনে ভক্তদের তাক লাগিয়ে দেন হলিউড অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। আবেগাপ্লুত হয়ে জানান, এবার মা দিবসটি তার কাছে বিশেষ; কারণ, এদিন যমজ সন্তানের মা হয়েছেন এই নায়িকা।
সারা বিশ্বে সকল সন্তানেরা যখন মা দিবস উদযাপন করছিল, তখন হলিউড অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড যমজ সন্তানের মা হওয়ার খবরটি জানানোর প্রতীক্ষায় ছিলেন। সঙ্গে জানান, ২০২৫ সালের মা দিবস কখনো ভুলতে পারবেন না তিনি। প্রথম সন্তান ওনাঘ এর জন্মের সময় যেমন খুশি হয়েছিলেন, আরও দুই সন্তান হওয়ার পর এখন তিনগুণ খুশি অভিনেত্রী।
কিন্তু তার যমজ সন্তানের খবর প্রকাশ্যে আসতেই নতুন আলোচনা অভিনেত্রীর সন্তানের বাবার পরিচয় নিয়ে। অ্যাম্বারের প্রথম সন্তান ওনাঘ এর জন্ম হয়েছিল সারোগেসির মাধ্যমে। কিন্তু তার যমজ সন্তানের বাবা কে, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
বলে রাখা ভালো, সন্তান জন্মদানের চেয়ে এই হলিউড অভিনেত্রীর প্রেমজীবন ছিল সর্বোচ্চ চর্চায়। কারণ তার ছিল একাধিক প্রেম। হলিউড অভিনেতা জনি ডেপের সঙ্গে অ্যাম্বারের সংসারে ভাঙন ধরতেই বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবেরে ইলন মাস্কের সঙ্গে প্রেম চালিয়েছেন অভিনেত্রী। আর সে থেকে অভিনেত্রীর নতুন সন্তান আগমনের পর গুঞ্জন উঠেছে, বিশ্বের অন্যতম সেরা এ ধনীই ব্যক্তিই নাকি অ্যাম্বারের যমজ সন্তানের বাবা!
জানা গেছে, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সম্পর্কে ছিলেন অ্যাম্বার ও ইলন। সংবাদ মাধ্যম ‘ডেইলি মেইল’-এ প্রকাশিত হয়েছিল, অ্যাম্বার ও ইলন নাকি একসময় একসঙ্গে সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনাও করেছিলেন। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর ইলন মাস্ক চাইতেন এগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হোক, কিন্তু অ্যাম্বার তা রাখতে চেয়েছিলেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে কখনো তারা প্রকাশ্যে কিছু বলেননি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভিনেতা জনি ডেপকে বিয়ে করেন অ্যাম্বার। কিন্তু বিয়ের ১৫ মাস পর তারা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন তারা। এর অনেকগুলো বছর আইনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যান এই তারকা দম্পতি।
এরপর ২০২২ সালে জনি ডেপের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা তোলেন অভিনেত্রী। তখন এই মামলা চলাকালীন ডেপ আদালতে দাবি তোলেন, গোপনে ইলন মাস্কের সঙ্গে ডেট করতে শুরু করেছিলেন অ্যাম্বার হার্ড।
এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাত সদস্যের একটি জুরি ডেপের পক্ষে রায় দেয়। এরপর ক্যারিয়ার তথা চলচ্চিত্র জগৎ ছেড়ে স্পেনে আলাদাভাবে থাকতে শুরু করেন অভিনেত্রী।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: