নতুন ১৯ সরকারি কলেজের বেতন-ভাতা পরিশোধে বিশেষ বরাদ্দ
প্রকাশিত:
১১ আগস্ট ২০২৫ ১৬:২০
আপডেট:
১১ আগস্ট ২০২৫ ২০:২০

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে নতুন সরকারি কলেজসহ মোট ১৯টি প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
রোববার (১০ আগস্ট) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদের সই করা এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বরাদ্দের বিস্তারিত ছকসহ বিতরণ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
জানানো হয়েছে, এ বরাদ্দ ‘১২৫০২০৭০০০০০০-সরকারি মহাবিদ্যালয়সমূহ’ খাত থেকে প্রদান করা হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে এই অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণাধীন খাতে ব্যয় ও বিলির জন্য মঞ্জুর করা হয়েছে। বরাদ্দ করা অর্থ আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ বিধি অনুসারে ব্যয় করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ক্রমিক ১ থেকে ১৪ এবং ১৬ থেকে ১৯ নম্বর প্রতিষ্ঠান ২০১৮-১৯ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা উত্তোলন করতে পারবে। তবে ক্রমিক ১৫ নম্বর প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া বেতন-ভাতা তুলতে পারবে।
ছক অনুযায়ী বরাদ্দ পাওয়া কলেজগুলোর মধ্যে রয়েছে— পাবনার ভাঙ্গুড়া সরকারি হাজি জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ, হবিগঞ্জের বাহুবলের আলিফ সোবহান চৌধুরী সরকারি কলেজ, শেরপুরের নালিতাবাড়ী সরকারি নাজমুল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ, গাইবান্ধার সাঘাটার বোনারপাড়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ ও ধুনট সরকারি ডিগ্রি কলেজ, কুড়িগ্রামের রাজিবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ, পটুয়াখালীর দশমিনার সরকারি আব্দুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজ, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট সরকারি শামসুর রহমান কলেজ, শেরপুর সরকারি কলেজ, যশোরের মনিরামপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ সরকারি কলেজ, পাবনার ফরিদপুর সরকারি মোহাম্মদ ইয়াছিন ডিগ্রি কলেজ, সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের দিগেন্দ্র বর্মন সরকারি কলেজ, ঢাকার লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ, নরসিংদীর বেলাবো সরকারি হোসেন আলী কলেজ, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ সরকারি কলেজ, কুমিল্লার সদর দক্ষিণের লালমাই সরকারি কলেজ এবং বগুড়ার সারিয়াকান্দি আব্দুল মান্নান সরকারি মহিলা কলেজ।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, বরাদ্দ করা অর্থের আওতাভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা যদি এমপিও বাবদ বেতন-ভাতা বা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল থেকে বেতন গ্রহণ করে থাকেন, তবে তা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে। পাশাপাশি সরকারি আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে মেনে অর্থ ব্যয় করতে হবে। ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট ব্যয় নির্বাহকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
এছাড়া উদ্বৃত্ত অর্থ ৩০ জুন, ২০২৬ তারিখের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: