বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্যে নতুন দিগন্তে ঢাকায় বিআরআই মেলা
প্রকাশিত:
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:৫০
আপডেট:
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:৩৮

বাংলাদেশ ও চীনের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাড়াতে রাজধানীতে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ এক্সিবিশন ২০২৫’।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এর উদ্বোধন করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সবুর হোসেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মিরানা মাহরুখ এবং চীনা এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হান কুন।
অনুষ্ঠানে শেখ বশিরউদ্দীন সড়ক নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা এখন প্রায় গণহত্যার রূপ নিয়েছে এবং নিম্নমানের বাণিজ্যিক যানবাহনের কারণে জনগণ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা চীনা কোম্পানিগুলোর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, যদি তারা বাংলাদেশে এসে মানসম্পন্ন যানবাহন উৎপাদন করে তবে সড়ক খাতে বড় পরিবর্তন আসবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের অর্ধ-ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিকে দ্রুত এক ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্য ঘাটতির প্রসঙ্গ টেনে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ চীন থেকে ২২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে অথচ রপ্তানি তুলনামূলকভাবে অনেক কম। তিনি রপ্তানি বৈচিত্র্য বাড়াতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম যারা বিআরআই উদ্যোগে সাড়া দিয়েছে। তিনি জানান, গত এক বছরে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ ২৫৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে। চীন বাণিজ্য ও বিনিয়োগে আরও সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সবুর হোসেন নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে চীনা বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মিরানা মাহরুখ বলেন, বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য।
এবারের প্রদর্শনীতে ৪০টি প্রতিষ্ঠানের ৮০টি বুথ অংশ নিচ্ছে, যার মধ্যে ৩২টি চীনের প্রতিষ্ঠান। অবকাঠামো, প্রযুক্তি, জ্বালানি, স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবহন, লজিস্টিকস ও উৎপাদন খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হচ্ছে উচ্চপর্যায়ের বিটুবি ও জিটুবি মিটিং, সেমিনার ও বিনিয়োগ বিষয়ক সেশন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: