শুল্কের কারণে বিপদ বাড়বে আমেরিকারই, বলছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক
প্রকাশিত:
৭ আগস্ট ২০২৫ ১০:২৪
আপডেট:
৭ আগস্ট ২০২৫ ২০:৪৩

সম্প্রতি ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়ালো ৫০ শতাংশে। ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপকে ‘খারাপ ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত’ বলে উল্লেখ করে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (এসবিআই) বলছে, শুল্কের কারণে বিপদ বাড়বে আমেরিকারই।
এক প্রতিবেদনে এসবিআই দাবি করছে, এই শুল্ক আরোপের জন্য মার্কিন অর্থনীতির মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্টস) বৃদ্ধির হার হ্রাস পাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি, পাল্লা দিয়ে বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। এ ছাড়া দুর্বল হতে পারে ডলার। এই ত্রিমুখী চাপ সহ্য করা আমেরিকার পক্ষে কঠিন হতে পারে।
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের শুল্কনীতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। ফলে স্বল্প সময়ের জন্য গৃহস্থালির খরচ গড়ে বৃদ্ধি পাবে ২ হাজার ৪০০ ডলার। সে ক্ষেত্রে কম আয়ের পরিবারগুলোর অতিরিক্ত ১৩০০ ডলার পর্যন্ত ব্যয় বৃদ্ধি হতে পারে। বেশি আয়ের পরিবারের ক্ষেত্রে এই ধাক্কার অঙ্ক দাঁড়াবে পাঁচ হাজার ডলার।
আমেরিকার বিভিন্ন নামী বস্ত্রবিপণি সংস্থাকে পোশাক এবং জুতো সরবরাহ করে ভারত। সেই তালিকায় নাম রয়েছে ‘দ্য গ্যাপ ইনকর্পোরেটেড’, ‘পেপে জিন্স’, ‘ওয়ালমার্ট ইনকর্পোরেটেড’ এবং ‘কস্টকো হোলসেল কর্পোরেশন’-এর। কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির আশঙ্কা, ট্রাম্পের শুল্কের কারণে ‘কঠিন চ্যালেঞ্জের’ মুখে পড়বে এই শিল্প। ‘বর্ধমান টেক্সটাইল লিমিটেড’, ‘ওয়েলসপান লিভিং লিমিটেড’, ‘ইন্দো কাউন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ এবং ‘অরবিন্দ ফ্যাশন্স লিমিটেড’-এর মতো সংস্থাগুলোর লাভ কমতে পারে। যদিও এসবিআইয়ের দাবি, এর ফলে বেশি টাকা দিয়ে জামাকাপড় কিনতে হবে মার্কিন বাসিন্দাদের।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই ৯০টিরও বেশি দেশের ওপর নতুন শুল্কহার ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট। তখন ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল।
রাশিয়ার তেল কেনায় গত বুধবার ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। এই নতুন শুল্ক ২১ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: