পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমন ফের গ্রেপ্তার
প্রকাশিত:
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৪৭
আপডেট:
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:৫৫

গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন আল মুজাহিদ ওরফে সুমন বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন পাঁচটি টর্চার সেল গুঁড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় তার তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে পুলিশ উপজেলার বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক, বড়নল, কোষাদিয়া, বরকুল ও নান্দিয়াসাঙ্গুন গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযানে সুমনের নিয়ন্ত্রণাধীন পাঁচটি টর্চার সেল ভেঙে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। সন্ত্রাসী সুমন উপজেলার বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সুমনের টর্চার সেলে প্রতিনিয়ত চলতো মাদকসেবীদের আড্ডা। নিরপরাধ মানুষকে ধরে এনে মারধর করে টাকা আদায় করতো সুমন বাহিনী।
শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, গত রোববার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে সুমন ও তার সহযোগী রাজিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সুমন স্বীকার করে যে, বরমী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় তার পাঁচটি আস্তানা রয়েছে। তার দেওয়া তথ্যমতে ওইসব আস্তানায় অভিযান চালিয়ে একটি ইয়ারগান ও বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত ইয়ারগানটি রাইফেলের মতো ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতো তারা। অভিযানে সুমন বাহিনীর তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- কাঁঠালিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (১৮), কোষাদিয়া গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল শাহীদ (৩৫), বড়নল গ্রামের মৃত হাসেমের ছেলে কফিল উদ্দিন (৬৫)।
উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়াসাঙ্গুন এলাকার ত্রিমোহনী ব্রিজ থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমনকে আটক করে পুলিশ। তবে তাকে থানায় আনার পথে কয়েক দফা হামলা চালায় তার সহযোগীরা। রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্রীপুর-মাওনা সড়কের টেংরা মোড়ে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও থানা পুলিশের দুটি গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায় তারা। একপর্যায়ে মোটরসাইকেল শোডাউনের মাধ্যমে পুলিশের কাছ থেকে সুমনকে ছিনিয়ে নেয় তার সহযোগীরা।
তিনদিন পর, রোববার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে দুই সহযোগীসহ পুনরায় সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: