অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
প্রকাশিত:
১৪ আগস্ট ২০২৫ ১০:৪৭
আপডেট:
১৪ আগস্ট ২০২৫ ১৩:৫১

লক্ষ্মীপুরের রামগতি চর আব্দুল্লাহ আল মাদ্রাসাতুল জামিয়াতুল ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ ন ম আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের ৭০ লাখ টাকা আত্মাসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া দুই বছরের ব্যাংক লেনদেনের ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকার গরমিলেরও অভিযোগ করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এ অভিযোগে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে গতকাল প্রতিষ্ঠানের গেটে তালা মেরে মানববন্ধন করেন। দেওয়ালেও লেখা হয় ‘৭০ লাখ গেলো কই’।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ বলছেন, অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতি অনিয়মের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। একটি চক্র উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলেছে।
মাদ্রাসাছাত্র তানজীমুর রহমান ও ছাত্র জুইয়েনা আক্তার জানান, বিজ্ঞান বিভাগে আধুনিক প্রযুক্তির মালামাল ক্রয়ের নামে অধ্যক্ষ অর্থ আত্মসাত করেছেন। আইসিটি বিভাগের কোনো ক্লাস হয় না। শিক্ষার্থীদের নাম ভাঙিয়ে উপবৃত্তির লাখ লাখ টাকা তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন। সুষ্ঠু তদেন্তর মাধ্যমে অধ্যক্ষের দুর্নীতি-অনিয়মের বিচার করতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এর বিচার করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
আরবী শিক্ষক জোবায়ের আল হোসাইন বলেন, গত বছর মাদ্রাসার ব্যাংক (অগ্রণী) হিসাব থেকে বিভিন্ন সময় অধ্যক্ষ ৭০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। কোনো বিল ভাউচার বা রেজুলেশন ছাড়াই তিনি ওই টাকা আত্মসাৎ করেন। এরসঙ্গে কে কে জড়িত আছেন তা তিনি স্বীকার করছেন না। নতুন করে দুই বছরের ব্যাংক লেনদেনে আরও প্রায় ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকার গরমিল রয়েছে।
শিক্ষক আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারছেন না। ব্যাংক স্টেটমেন্ট অনুযায়ী তিনি ৭০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। ওই টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। গত কয়েকদিন পাঠদান হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের কেচি গেইটে তালা মেরে মানববন্ধন করেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিদার হোসেন বলেন, অর্থ আত্মসাতের ঘটনাটি কেউ আমাদের জানায়নি। এছাড়া ক্লাস বর্জন করে প্রতিষ্ঠানের তালা মারার বিষয়টিও সংশ্লিষ্ট কেউ জানায়নি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রামগতি নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, ফাজিল বা ডিগ্রি প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বে জেলা প্রশাসন দায়িত্বে থাকেন। ঘটনাটি জেলা প্রশাসনকে জানানো হবে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: