ইনানী সমুদ্র সৈকতে ভেসে এলো ‘বামন শুক্রাণু তিমি’
প্রকাশিত:
২৪ মে ২০২৫ ১২:৩৯
আপডেট:
২৪ মে ২০২৫ ১৮:৪৫

কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্র সৈকতে ভেসে এলো প্রায় ১০০ কেজি ওজনের একটি তিমি। প্রাণীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৮-১০ ফুট। এটি বামন শুক্রাণু তিমি নামে পরিচিত।
শুক্রবার (২৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইনানী সৈকতের পাথরে আটকা পড়ে তিমিটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ফিরোজ আল আমিন।
বন বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইনানী সৈকতের পাথরে আটকা পড়ে প্রায় ১০০ কেজি ওজনের একটি তিমি। প্রথমে পর্যটকেরা তিমিটি নিয়ে ছবি তুলেন এবং পরবর্তীতে তিমিটি টেনে বালিয়াড়িতে আনার চেষ্টা করা হয়। এ সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বন বিভাগের লোকজন পৌঁছে পর্যটকদের বুঝানোর পর তিমিটি উদ্ধার করা হয়। তখন দেখা গেছে যে তিমির মাথায় এবং পেটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যে পাথর অথবা জেলেদের মাছ ধরার জালে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে তিমিটি। বিচ কর্মী ও বন বিভাগের কর্মীরা বেশ কয়েকবার পানিতে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও তাকে সাগরে ফেরানো যাচ্ছিল না। পরে প্রায় দু’ঘণ্টা টানা চেষ্টা চালিয়ে তাকে গভীর সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।
ইনানী সৈকতের বিচ কর্মী বেলাল উদ্দিন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় তিমিটি সৈকতের পাথরে এসে আটকা পড়ে। পরে বন বিভাগে খবর দেওয়া হলে স্থানীয় লোকজন, বিচ কর্মী ও বন বিভাগ চেষ্টা চালিয়ে তিমিটি গভীর সাগরে অবমুক্ত করে।
ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ফিরোজ আল আমিন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত টিম নিয়ে ইনানী সৈকতে আসি। প্রাথমিক অবস্থায় তিমির মাথায় ও পেটে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। হয়ত পাথরে আঘাত পেয়েছে। এটি বামন শুক্রাণু তিমি। এর ওজন প্রায় ১০০ কেজি এবং দৈর্ঘ্য ৮-১০ ফুটের মতো হবে। এ তিমিগুলো প্রায় সময় সাগর উপকূলে চলে আসে। হয়ত কোনো কারণে এটি উপকূলে চলে এসেছে। এসব প্রাণী মূলত অল্প পানিতে সাঁতার কাটতে পারে না। তাই তিমিটি বন বিভাগের কর্মীসহ বিচ কর্মীদের সহায়তায় রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে সাগরের গভীর পানিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরে এটিকে গভীর সাগরে ফিরে যেতে দেখা গেছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: