মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনা
‘বাচ্চাদের মৃত্যু নিয়ে কথা বললেই বলে, আমরা নাকি মায়াকান্না করি’
প্রকাশিত:
২৬ আগস্ট ২০২৫ ১৯:০৪
আপডেট:
২৬ আগস্ট ২০২৫ ২২:২৬

মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী আছিয়ার মা তামিমা আক্তার অভিযোগ করেছেন, যখন আমরা আমাদের বাচ্চাদের মৃত্যু নিয়ে কথা বলি, তখন কলেজের কয়েকজন শিক্ষক বলেন আমরা নাকি মায়াকান্না করি। আমি কি আমার বাচ্চার মৃত্যুর জন্য বিচার চাইতে পারব না?
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবার এ অভিযোগ করে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৯ দফা দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তামিমা আক্তার বলেন, মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ জোর করে শিক্ষার্থীদের কোচিং করতে বাধ্য করত। বাচ্চাগুলো কোচিংয়ের জন্য আটকানো ছিল। আর আটকানো থাকার কারণেই তারা মারা গেছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, মাইলস্টোন কলেজে প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে অনিয়ম চলছে। মাইলস্টোনের মালিক ৮০ জনকে স্কুল থেকে পরীক্ষা দেওয়ায়, আর বাকি ২০ জনকে আরেকটি বেনামী প্রতিষ্ঠান আছে, মেগাসিটি সেখানে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে বড় অংকের টাকা নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ায়।
নিহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে তামিমা আক্তার বলেন, আমরা দেখলাম, স্কুলের যে ৩ জন শিক্ষক মারা গেছে তাদের অভিভাবকদের নিয়ে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা মিটিং করলেন। কিন্তু আমাদের বাচ্চাদের নিয়ে কোন কথাই বললেন না। যখন আমরা এই নিউজটা দেখেছি আমাদের অনেক খারাপ লেগেছে।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত শিক্ষার্থী ফাতেমার মামা লিয়ন মীর লিখিত অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে রাজিয়া ও নাফি ছাড়া বাকিরা সেদিন কোচিংয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল। নাজিয়াকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছিল। তার দাবি, এই কোচিং ব্যবসায়ই মাইলস্টোন কলেজ শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। এর দায় নিতে হবে কলেজ কর্তৃপক্ষকে।
৮ম শ্রেণির নিহত শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদের বাবা রুবেল মিয়া বলেন, আমার ছেলে সেদিন কোচিংয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল। এতগুলো বাচ্চা মারা গেল, যেন কিছুই হয়নি।
নিহত শিক্ষার্থী নাজিয়া ও নাফির বাবা আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ তাদের পরিবহন ব্যবহার করেনি। তিনি নিহত শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রীয় শহীদ মর্যাদা এবং দুর্ঘটনাস্থলে একটি স্মৃতিস্তম্ভ করার দাবি জানান।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: