৯ মিনিটের ব্যবধানে প্রাণে বাঁচেন মাইলস্টোনের অধ্যক্ষ
প্রকাশিত:
২ আগস্ট ২০২৫ ১৯:১৩
আপডেট:
২ আগস্ট ২০২৫ ২২:১২

রাজধানীর মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাত্র ৯ মিনিটের ব্যবধানে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে সেদিন বেঁচে ফিরেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। অলৌকিকভাবে বেঁচে ফেরার ঘটনা তিনি নিজেই বর্ণনা করেছেন।
অধ্যক্ষ বলেন, ঘটনার দিন নতুন দুজন শিক্ষকের ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য তাকে ডেকেছিলেন মাইলস্টোন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা আক্তার। ইন্টারভিউ বোর্ডে উপস্থিত হতে গিয়ে দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান তিনি।
শনিবার (২ আগস্ট) সকালে উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের স্মরণ ও আহতদের আরোগ্যের উদ্দেশ্যে আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে নিজের পরিস্থিতি বর্ণনা করেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্কুল ছুটির সময় আমি মূলত বারান্দায় দাঁড়াই, হাঁটাহাঁটি করি, শিক্ষকদের, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালন দেখি, স্টুডেন্টদের দেখি। ওই দিন প্রধান শিক্ষিকা ডেকে নিয়ে গেলেন, দুপুর ১টার সময় দুজন নতুন শিক্ষকের সাক্ষাৎকার নেবেন। দুপুর ১টা ৪ মিনিটের দিকে বের হয়ে সেখানে গেলাম। আর ১টা ১২ থেকে ১৩ মিনিটের মাঝামাঝি সময়ে বিমান দুর্ঘটনা ঘটল। না হলে হয়তো আমিও লাশ হতে যেতাম।
তিনি বলেন, যারা আমাদের ছেড়ে গেছে, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। এই দুর্ঘটনা যদি ১টা ৪-৫ মিনিটের দিকেও হতো, তাহলে আমরা যে কত কিছু হারাতাম, আরও কতজন মা-বাবা যে সন্তানহারা হতেন; কারণ, স্কুল ছুটির পর প্রায় ১০ মিনিট লাগে বাচ্চাদের বের হতে।
অধ্যক্ষ উদ্ধারকাজে শিক্ষক-কর্মচারীদের ভূমিকার কথা স্মরণ করে বলেন, আপনাদের কষ্ট, আপনাদের বেদনা সবকিছুর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই। যদি কারো মনে এতটুকুও মনে হয় অবহেলাজনিত কারণে, এর দায় একমাত্র আমার—আর কারও নয়। আপনারা যেকোনো বিচার করতে পারেন।
শোক ও দোয়া অনুষ্ঠানের শুরুতে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা আক্তার। শেষে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কলেজের ইংরেজি শিক্ষক নুসরাত আলম।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: