পল্লবীতে চাঁদার দাবিতে হামলা-গুলির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
প্রকাশিত:
১৩ জুলাই ২০২৫ ১৫:৫৪
আপডেট:
১৪ জুলাই ২০২৫ ০১:৩০

চাঁদার টাকা না দেওয়ায় পুরাণ ঢাকায় এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যা নিয়ে দেশজুড়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে রাজধানীর পল্লবীতে একই কারণে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- নিলয় হোসেন বাপ্পী, মামুন মোল্লা ও মোহাম্মদ রায়হান।
আজ রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, চাঁদার দাবিতে পল্লবীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল (১২ জুলাই)শনিবার দিবাগত রাতে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি জড়িতদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে।
এর আগে শুক্রবার (১১ জুলাই) পল্লবীর আলব্দিরটেক এলাকায় এ কে বিল্ডার্স নামের আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে এ হামলা হয়।
পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে একদল লোক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে হামলা চালায় বলে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। হামলাকারীরা এ সময় চারটি গুলি করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। দুর্বৃত্তদের গুলিতে শরিফুল ইসলাম নামে প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। যারা হামলা ও গুলি করেছে তাদের কাউকে এখনো কাউকে শনাক্ত করা হয়নি। শনাক্তে কাজ চলছে।
এ কে বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. কাইউম আলী খান। তার ছেলে আমিমুল এহসান গতকাল শনিবার বলেন, তিন সপ্তাহ আগে জামিল নামের এক ব্যক্তি তার বাবার কাছে পাঁচ কোটি টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় দুই দফায় তাদের প্রতিষ্ঠানে হামলা করে সিসি ক্যামেরাসহ অনেক কিছু নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসী এসে তাদের প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। এ সময় তারা গুলিও করে। গুলিতে একজন আহত হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন এ কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান কাইউম আলী খান।
জিডিতে তিনি অভিযোগ করেন, গত ২৭ জুন তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রথমবার হামলা করা হয়। এরপর ৪ জুলাই আবার হামলা করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। তারা ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এসব ঘটনার পর গতকাল শনিবারও প্রতিষ্ঠানটিতে আবার হামলা হলো।
এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় পুরাণ ঢাকার মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে এক ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে (৩৯) হত্যা করে একদল ব্যক্তি।
পরিবার বলছে, মাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সোহাগকে এভাবে হত্যা করা হয়।
এসএন /সীমা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: