বুয়েটের সব পরীক্ষা স্থগিত
প্রকাশিত:
২৮ আগস্ট ২০২৫ ১১:১১
আপডেট:
২৮ আগস্ট ২০২৫ ১৬:২৭

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্নাতক পর্যায়ের বিভিন্ন লেভেল ও টার্মের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার (২৭ আগস্ট) বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এন. এম. গোলাম জাকারিয়ার স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ৩০ আগস্ট থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য স্নাতক পর্যায়ের বিভিন্ন লেভেল ও টার্মের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তীতে স্নাতক পর্যায়ের পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে, বুয়েটসহ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রথমে তিন দফা দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। দাবির মধ্যে রয়েছে- নবম গ্রেডের ইঞ্জিনিয়ারিং পদ বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং প্রার্থীর কমপক্ষে বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। কোটার মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না। এমনকি বিভিন্ন নামে সমমানের পদ সৃষ্টি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
দশম গ্রেডের কারিগরি পদ বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষা ডিপ্লোমা এবং বিএসসি ডিগ্রিধারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
এদিকে বুধবার দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করলে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও পুলিশ সদস্য আহত হন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও আদায় না হওয়া তিন দফা দাবি থেকে সরে এসে পাঁচ দফা দাবি জানান আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি এ সমস্যা সমাধানে সরকারের গঠন করা কমিটিও প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা।
এদিন বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। একইসঙ্গে তাকে বিষয়টির জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করলাম। একইসঙ্গে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে।
এছাড়াও আন্দোলনে অংশ নেওয়া রোকনের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও হামলায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বুয়েটের এ শিক্ষার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পুলিশের হামলায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: