ভাড়া বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
 প্রকাশিত: 
                                                ১ মার্চ ২০২৩ ০৬:০০
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১০:৪৮
                                                
                                        গোপালগঞ্জ শহরের নবীনবাগ এলাকা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) নোভা ইয়াসমিন (২২) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর স্বামী রাসেলকে (২৪) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টার দিকে শহরের নবীনবাগ এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।
নিহত নোভা বশেমুরবিপ্রবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ও তার স্বামী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারা নবীনবাগ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাসুদ।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে নিহতের স্বামীর চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে তারা দেখেন ঘরের বিছানায় একটি মরদেহ পড়ে আছে। তার স্বামীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। পরে তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশ মরদেহ নিয়ে চলে যায়।
নিহতের স্বামী রাসেল সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি কোচিং করানোর জন্য বাসা থেকে বের হন। দুপুর পৌনে ২টার দিকে গেট খুলে ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পান ঘরের দরজা খোলা। তখন ঘরে ঢুকে দেখেন তার স্ত্রী নোভা ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। এরপর তিনি স্ত্রীর ফাঁস খুলে তাকে বিছানা নামিয়ে লোকজন ডাকেন। পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে পুলিশকে খবর দেয়।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. মো. আবু সালেহ বলেন, আমরা দুপুর ৩টার দিকে সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে প্রক্টিরিয়াল টিমসহ ঘটনাস্থলে যাই। পুলিশ ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গেছে এবং তার স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ওসি জাবেদ মাসুদ বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশ নিহত ছাত্রীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আশা করি দ্রুতই আমরা ঘটনার মূল রহস্য জানতে পারব। এ বিষয়ে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান আছে।
সম্পর্কিত বিষয়:



                                                            
                                                            
                                                            
                                                            
                                                            
                                                            
                                                            
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: