ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা
 প্রকাশিত: 
                                                ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:১৯
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১০:৫৬
                                                
                                        সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভুয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। বিভিন্ন নামিদামি প্রতিষ্ঠানের পণ্যের বিজ্ঞাপনের ছবি ডাউনলোড করে তাতে এডিট করে নিজেদের মুঠোফোন নম্বর বসিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গ্রাহকদের থেকে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা।
এমন আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রের মূল হোতাসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করে। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান।
আটককৃতরা হলেন- প্রতারক চক্রের মূলহোতা চট্টগ্রাম দক্ষিণ পাহাড়তলীর বারকুয়াদা গ্রামের মৃত শরীফ হোসেনের ছেলে শাকিল হোসেন, খাগড়াছড়ি মানিকছড়ির জহিরুল আলমের ছেলে শুকুর আলী ও পাবনার সাথিয়ার নুরদহের সালাহউদ্দিন শেখের ছেলে মহিউদ্দিন শেখ নিরব।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, বিভিন্ন নামিদামি প্রতিষ্ঠানের পণ্যের বিজ্ঞাপন ডাউনলোড করে সেখানে নিজেদের মোবাইল নম্বর বসিয়ে অনলাইনে আপলোড দিতেন তারা। পরে গ্রাহক তাদেরকে কল করলে তারা নিজেদেরকে সেলস ম্যানেজার পরিচয় দিতেন। চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। পরে আসল পণ্যের পরিবর্তে গ্রাহককে দিতেন ভেজাল পণ্য। এ কাজে তারা ব্যবহার করতেন একাধিক মোবাইল ফোন, সিমসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসলেও এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। এভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের তিন সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে যশোর কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা।
তিনি আরও জানান, শনিবার রাতে চট্রগ্রামের বায়েজিদ বোস্তমী থানায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত ১২টি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ২২টি বাটন ফোন, ৩টি কম্পিউটার, ৬টি পেনড্রাইভ, একটি ডিভিআর, একটি ডিভিডি রাইটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। চলতি মাসে তারা ২৩ লাখ টাকা বিকাশে লেনদেন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম, তদন্ত ওসি একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী, মামলা তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক তাপস মন্ডল, অভিযানে অংশ নেওয়া উপ-পরিদর্শক আনসারুল হক প্রমুখ।
সম্পর্কিত বিষয়:



                                                            
                                                            
                                                            
                                                            
                                                            
                                                            
                                                            
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: