9576

05/03/2024 চলতি মাসেই বাজারে আসছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম

চলতি মাসেই বাজারে আসছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে

১৬ মে ২০২২ ০৩:০৬

গুটি থেকে আঁটিসহ পরিপক্ব হয়েছে ফলের রাজা আম। আর তাতেই আমের রাজধানীখ্যাত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে শুরু হয়েছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। শুরু হয়েছে আম পাড়ার প্রস্তুতি। কবে আসবে বাজারে পাকা আম, সবাই এখন সেই অপেক্ষায়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শিগগিরই হবে অপেক্ষার অবসান। গত বছরের মতো এবারও থাকছে না আম ক্যালেন্ডার। অর্থাৎ আম পাড়ার কোনো সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করবে না প্রশাসন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাজারে আসবে মে মাসের শেষ সপ্তাহে। তবে অপরিপক্ব আম বাজারজাত করলে কঠোরভাবে তা দমন করা হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বাজারে আসবে গোপালভোগ জাতের আম। ২০ থেকে ২৫ মের মধ্যেই গোপালভোগ আম পাকতে শুরু করে। একই সময়ে বাজারে আসবে মহানন্দা ও গুটি জাতের আম।

সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের চাঁপাই-মহেশপুর গ্রামের আমচাষি আপন রেজা নিসান বলেন, বছরের প্রথম আম পাকে গোপালভোগ। এর সঙ্গে আরও কিছু গুটি জাতের আম বাজারে আসে। চলতি মৌসুমে গোপালভোগ আম পাড়তে আরও ১২ থেকে ১৫ দিনের মতো সময় লাগবে। মাসের শেষের দিকে এ জাতের আম বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। গুটি জাতের আম এখনো পাকা দেখা যায়নি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. ইউসুফ জানান, ২০ মের পর থেকে সবাই আমের স্বাদ নিতে পারবেন। তবে ভালো আম পেতে আরও একটু অপেক্ষা করতে হবে। আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে ফল একটু আগে ও পরে পাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন ধরে ধারাবাহিকভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে চলতি মাসে আবহাওয়া কিছুটা শীতল থাকলে আম পাকতে এক সপ্তাহ দেরি হতে পারে। তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে সঠিক সময়েই আম পাকবে ও বাজারে আসবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, এ বছর গাছ থেকে আম সংগ্রহের নিদিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। সময় বেঁধে দিলে অনেক ক্ষেত্রে অপরিপক্ব আমও পাড়া হয়। তবে আম ক্যালেন্ডার না থাকলেও অপরিপক্ব আম বাজারজাতের বিষয়টি কঠোরভাবে নজরদারিতে রাখা হবে। এ নিয়ে কৃষকদের সচেতন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হয়েছে। প্রায় ৫৫-৬০ লাখ গাছে চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগ জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর জেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আড়াই লাখ মেট্রিক টন এবং তার আগের বছর ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হয়েছে।

এসএন/তাজা/২০২২

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]