8571

05/15/2024 রোদে ভিটামিন ডি পাবেন যেভাবে

রোদে ভিটামিন ডি পাবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৩৫

শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ভিটাামিন ডি। এই ভিটামিনের ঘাটতিতে নানা জটিলতা দেখা দেয়। হাড়ক্ষয়, অস্টিওপরোসিস, প্রজনন সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম এগুলো ভিটামিন ডি’র ঘাটতির কারণে হয়ে থাকে।

শীতপ্রধান দেশগুলোর মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি বেশি থাকার আশঙ্কা আছে। বাংলাদেশের মতো নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের মানুষের দেহে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি প্রধানত অসচেতনতা প্রসূত।

দেহের মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি আসে সূর্যালোক থেকে। ২০ শতাংশের কম আমরা পেতে পারি খাদ্য উপাদান থেকে, যেমন- স্যালমন মাছ, পোনা মাছ, সামান্য কিছু থাকে মাগুড়-মলা মাছে, দুধ-ডিমে। ভিটামিন ডি পেতে হলে আমাদের সূর্যালোকের ওপরই নির্ভরশীল হতে হবে।

যেভাবে সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি পেতে পারি

দিনের মধ্যভাগের সূর্যালোক বিশেষ করে গরমকালে সবচেয়ে উপযোগী হতে পারে। দুপুরের কাছাকাছি সময়ে সূর্য যখন সবচেয়ে ওপরের দিকে থাকে, তখন সূর্যরশ্মিতে যে অতি বেগুনি রশ্মি থাকে তা ভিটামিন তৈরিতে বেশি উপযোগী। অন্যদিকে সূর্য পূর্ব-পশ্চিম আকাশে হেলে থাকলে তাতে যে অতি বেগুনি রশ্মি থাকে তা পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে না। শীতকালের কম আর্দ্র ও কুয়াশাচ্ছন্ন দিনগুলোয় অথবা শীতপ্রধান দেশে অধিকাংশ সময় সূর্যালোকে যে অতি বেগুনি রশ্মি থাকে, তা ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

কতক্ষণ ধরে রোদ পোহাতে হবে তা নির্ভর করবে আপনি পৃথিবীর কোন জায়গায় অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের মানুষের জন্য গবেষণাভিত্তিক তথ্য না থাকলেও পৃথিবীর অন্য দেশের গবেষণার সঙ্গে তুলনা করে প্রতিদিন নিয়মিত প্রায় ৩০ মিনিট রোদ পোহানো প্রয়োজন হতে পারে বলে ধরে নেয়া যায়।

এ সময় শরীরের কমপক্ষে ১৮ শতাংশে রোদ লাগতে দিতে হবে। দুপুরের কাছাকাছি সময় মানে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত রোদে যাওয়ার উপযুক্ত সময় হতে পারে। আর বছরের গরমের সময়টুকু অর্থাৎ এপ্রিল-সেপ্টেম্বর, রোদ থেকে ভিটামিন ডি পাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় হবে।

ত্বকের রং সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি তৈরিতে প্রভাব খাটাই। ত্বকের রং যত গাঢ় হয় (বেশি মেলানিন থাকে), তা সূর্যালোক থেকে অতি বেগুনি রশ্মি প্রবেশে ততবেশি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। অর্থাৎ গায়ের রং যত কালো তাকে ততবেশি সময় রোদে থাকতে হবে।

অনেক খেলোয়ার ও বেশ কিছু নারী ত্বকে সানস্ক্রিন/সানব্লক ব্যবহার করে। এগুলো সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি পেতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

যতটা সম্ভব বেশি সময় শরীরের বেশি অংশে সূর্যালোক লাগানোর চেষ্টা করবেন যাতে ভিটামিন ডি’র চাহিদা মেটানোর সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।

এসএন/তাজা/২০২২

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]