জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি- একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে ১০টি প্রকল্প। মঙ্গলবার ৮ ফেব্রুয়ারি, সকালে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এ বৈঠক। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বৈঠকে যোগ দেন একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রকল্পগুলো হচ্ছে-

১. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘মোংলা কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েস্ট (কমফ্লোট ওয়েস্ট) এর অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প। এর জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। একনেকে অনুমোদনের পর প্রকল্পটি সেপ্টেম্বর ২০২১ হতে জুন ২০২৬ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে নৌবাহিনী সদর দপ্তর ও সেনা সদর, ঢাকা সেনানিবাস।

২. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরেকটি প্রকল্প ‘চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) মিলিটারি ফার্ম আধুনিকায়ন’। অনুমোদনের পর প্রকল্পটি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ সালে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

৩. সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ‘আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ককে চারলেন জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প। এটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৫৬৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সংশোধনীর মাধ্যমে ৫ হাজার ৭৯১ কোটি ৬০ লাখ টাকার করার প্রস্তাব করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।

৪. স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘বাংলাদেশের ১০টি (দশ) অগ্রাধিকারভিত্তিক শহরে সমন্বিত স্যানিটেশন ও হাইজিন (সমন্বিত কঠিন ও মানব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা)’ শীর্ষক প্রকল্প। এর জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এ প্রকল্পে আইডিবি থেকে ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে ৩০৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। অনুমোদনের পর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

৫. স্থানীয় সরকার বিভাগের আরও একটি প্রকল্প ‘ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প। প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ৩ হাজার ১৮২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সংশোধনীর মাধ্যমে ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৩ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। এডিবি থেকে প্রকল্পের ঋণ পাওয়া যাবে ২ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা। এটি বাস্তবায়ন করছে ঢাকা ওয়াসা।

৬. স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অধিভুক্ত এলাকায় বর্জ্য অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা, সড়ক মেরামতে ব্যবহৃত আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহ এবং ম্যাকানাইজড পার্কিং স্থাপনের মাধ্যমে যানজট নিরসনকরণ’ প্রকল্প। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

৭. স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকার আজিমপুরস্থ মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ডাক্তার, কর্মকর্তা, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য হোস্টেল/ডরমিটরি নির্মাণ’ প্রকল্পটি একনেকে উপস্থাপন করা হয়। ৬৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ব্যয়ের প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের পর এটি বাস্তবায়ন করবে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর।

৮. ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রনটিয়ার টেকনোলজি এর প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্পটি একনেকে তোলা হয়। অনুমোদনের পর প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫০৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

৯. স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘গোপালগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পটি ২য় সংশোধনের জন্য একনেকে তোলা হয়। প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ৬১৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। প্রথম সংশোধনীতে ১ হাজার ১২৩ কোটি টাকা এবং দ্বিতীয় সংশোধনীতে ১ হাজার ৮২৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।

১০. কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘স্মার্ট কৃষি কার্ড ও ডিজিটাল কৃষি (পাইলট)’ প্রকল্পটি একনেকে তোলা হয়। এর জন্য মোট ব্যয় ধরা হয় ১০৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। একনেকে অনুমোদনের পর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

এসএন/জুআসা/২০২২