অবৈধভাবে আমদানি করা ওয়াকিটকি রাখার অভিযোগে করা মামলায় মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত ও বন্দি নেত্রী অং সান সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জনগণকে উস্কানি দেওয়া ও করোনার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি ভাঙার অভিযোগে করা মামলায় দুই বছর করে মোট চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল সু চিকে। তবে বিশ্বজুড়ে নিন্দার মুখে অং সান সু চির সাজা দুই বছর কমানো হয়।
স্বাধীনতার পর প্রায় ৯০ ভাগ সময় সামরিক শাসনের অধীনে থাকা মিয়ানমারের সংক্ষিপ্ত গণতান্ত্রিক যাত্রার ইতি ঘটে গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি।
ওই দিন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সু চির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। জরুরি অবস্থা জারি করে সরকারের প্রধান হন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং।
ওই সময় গ্রেপ্তার করা হয় অং সান সু চিসহ তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষ নেতাদের। তখন থেকে ৭৬ বছর বয়সী সু চিকে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। যদিও সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন এই নেত্রী।
এসব মামলার মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভঙ্গ এবং সহিংসতায় উস্কানি দেওয়ার মতো অভিযোগ। সু চির বিরুদ্ধে আরও যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো প্রমাণিত হলে তার সবমিলিয়ে ১০২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।