দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন ৩ হাজার ২৪৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

এ নিয়ে দেশে মোট ১ লাখ ৫ হাজার ৫৩৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলেন এবং মারা গেলেন ১ হাজার ৩৮৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৮১ জন এবং মোট সুস্থ ৪২ হাজার ৯৪৫ জন।

আজ শুক্রবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রসাশন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৬ হাজার ৩২৭টি। আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ৪৫টি। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৪৮টি। ২৪ ঘণ্টায় এই সংগৃহীত নমুনা থেকে শনাক্ত রোগী ৩ হাজার ২৪৩ জন। ।এ পর্যন্ত শনাক্ত ১ লাখ ৫ হাজার ৫৩৫ জন। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।’

অধ্যাপক নাসিমা বলেন, ‘২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ২ হাজার ৭৮১ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ৪২ হাজার ৯৪৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৬৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছে ৪৫ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু দাঁড়ালো ১ হাজার ৩৮৮ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ। মৃত্যু বিশ্লেষণে পুরুষ ৩২ জন এবং নারী ১৩ জন।

বয়স বিশ্লেষণে করে তিনি বলেন, ‘১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর ৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর ৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর ৯ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর ৪ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৩ জন মারা গেছে।’

‘তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, বরিশাল বিভাগে ১ জন, সিলেট বিভাগে ১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ জন মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ৩১ জন এবং বাসায় ১৪ জন মারা গেছে’, জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৮০৩ জন, মৃত্যু হয় ৩৮ জনের। বুধবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল ৪ হাজার ৮ জন, মৃত্যু হয় ৪৩ জনের। তার আগের দিন মঙ্গলবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৮৬২ জন, মৃত্যু হয় ৫৩ জনের। সোমবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৯৯ জন, মৃত্যু হয় ৩৮ জনের। রোববার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল ৩ হাজার ১৪১ জন, মৃত্যু হয় ৪৪ জনের। শনিবার আক্রান্ত হয়েছিল ২ হাজার ৮৫৬ জন, মৃত্যু হয় ৪৪ জনের।

প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগীশনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।