দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন ৩ হাজার ৮৬২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। দেশে একদিনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার হিসাবে এটিই সর্বোচ্চ।
এ নিয়ে দেশে মোট ৯৪ হাজার ৪৮১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলেন এবং মারা গেলেন ১ হাজার ২৬২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৩৭ জন এবং মোট সুস্থ ৩৬ হাজার ২৬৪ জন।
আজ মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৪০৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ হাজার ২১৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ৮৬২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মোট আক্রান্ত ৯৪ হাজার ৪৮১ জন। শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৭ জন ও নারী ৬ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ১ হাজার ২৬২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৩৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ ৩৬ হাজার ২৬৪ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
ডা. নাসিমা জানান, বয়স বিশ্লেষণে ১১-২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১-৩০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ১৯ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ৮ জন এবং ৮১-৯০ বছরের মধ্যে একজন মারা গেছেন।
তিনি আরও জানান, বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৩০ জন, চট্টগ্রামে ১৪ জন, রাজশাহীতে ৪ জন, খুলনায় ৩ জন, বরিশালে একজন, ও ময়মনসিংহে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে ৩৪ জন ও বাড়িতে ১৮ জন মারা গেছেন। আর হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এসেছেন একজন।
এর আগে সোমবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৯৯ জন, মৃত্যু হয় ৩৮ জনের। রোববার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল ৩ হাজার ১৪১ জন, মৃত্যু হয় ৪৪ জনের। আগের দিন শনিবার আক্রান্ত হয়েছিল ২ হাজার ৮৫৬ জন, মৃত্যু হয় ৪৪ জনের। তার আগের দিন শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৪৭১ জন, মৃত্যু হয় ৪৬ জনের।
প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগীশনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।