6834

05/16/2024 মির্জাপুরে বংশাই-লৌহজং নদীর ভাঙনে বিলীন শতাধিক ঘরবাড়ি

মির্জাপুরে বংশাই-লৌহজং নদীর ভাঙনে বিলীন শতাধিক ঘরবাড়ি

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

৫ অক্টোবর ২০২১ ১৮:৩২

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বন্যার পানি কমতে থাকায় বংশাই ও লৌহজং নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে করে ভাঙন কবলিত এলাকার ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে।

ইতোমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাঙনে শতাধিক বসতবাড়ি ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় নিজেদের ভিটেমাটি রক্ষায় ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মির্জাপুর উপজেলার বংশাই ও লৌহজং নদীতে বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাঙনের ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে অনেক পরিবার। এর মধ্যে বংশাই নদী তীরবর্তী বাওয়ার কুমারজানী উত্তরপাড়া, পুষ্টকামুরী পূর্বপাড়া, গোড়াইল, চাকলেশ্বর, ফতেপুর, হিলড়া আদাবাড়ী, থলপাড়া, বৈন্যাতলী, ত্রিমোহন, বান্দরমারা, যুগিরকোফা ও রশিদ দেওহাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে নদীভাঙন।

এছাড়াও লৌহজং নদীর দেওহাটা, বহুরিয়া, মাঝালিয়া, গুনটিয়া, চুকুরিয়া, বরাটি, কোর্ট বহুরিয়া, কামারপাড়া ও নাগরপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় নদীভাঙনে বহু পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

সরেজমিন দেখা যায়, মির্জাপুর পৌরসভার পুষ্টকামুরী ও বাওয়ার কুমারজানী গ্রামে নদীভাঙনে প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। যার মধ্যে পৌর এলাকার দুই নম্বর ওয়ার্ডের পুষ্টকামুরী দক্ষিণ পাড়া ও চার নম্বর ওয়ার্ডের পুষ্টকামুরী পূর্বপাড়া (সওদাগড়পাড়া) এবং একই ওয়ার্ডের বাওয়ার কুমারজানী উত্তরপাড়া এলাকা রয়েছে।

এসব এলাকায় বেশ কয়েকটি পাকা দালান, রাইস মিল, ফসলি জমি ও গাছপালা যে কোন সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে বংশাই নদীর ওপর নির্মিত একাব্বর হোসেন সেতু ও সওদাগরপাড়া জামে মসজিদ ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।

নদী ভাঙনের কবলে পড়া ওই এলাকার বাসিন্দা মো. মজিবর রহমান জানান, বন্যার পানি কমতে শুরু করায় নদীতে তীব্র স্রোত আর ভাঙন দেখা দিয়েছে। আর সর্বনাশা ভাঙনে তার বসতবাড়িও ধীরে ধীরে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে তার ঘরবাড়িসহ প্রায় কোটি টাকার সম্পদ নদীগর্ভে চলে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ আরও বেশ কয়েকটি অসহায় পরিবার তাদের এমন দুর্দশার কথা জানিয়েছেন।

উপজেলা এলজিইডি অফিসের প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, বন্যা পরবর্তী সময়ে নদীভাঙনে বিভিন্ন স্থাপনা ও ব্রিজের ক্ষতি হচ্ছে। ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা ও ব্রিজের প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। প্রকল্প অনুমোদন পেলেই যথাসময়ে সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু হবে।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ভাঙনের খবর জানলেও বরাদ্দ না থাকায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে স্থানীয় এমপির পরামর্শ অনুযায়ী এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। এছাড়াও নদীর দুই পাড়ে ভাঙনরোধে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডে আবেদন করা হয়েছে।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]