674

05/18/2024 ‘হঠাৎ বৃষ্টি’র পরিচালক বাসু চ্যাটার্জির মৃত্যু

‘হঠাৎ বৃষ্টি’র পরিচালক বাসু চ্যাটার্জির মৃত্যু

বিনোদন ডেস্ক

৫ জুন ২০২০ ০১:৫৭

চলে গেলেন ভারতের বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র পরিচালক বাসু চ্যাটার্জি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুম্বাইয়ের নিজ বাড়িতে ঘুমের মধ্যে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৯৩ বছর বয়সের ‘হঠাৎ বৃষ্টি’খ্যাত এই নির্মাতা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সান্তাক্রুজের নিজ বাসভবনে ঘুমে থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন বাসু চ্যাটার্জি। চলচ্চিত্র অঙ্গনের জন্য এটি একটি বিরাট ক্ষতি। দীর্ঘ দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বাসু চট্টোপাধ্যায়ের পরিবার ও পরিজনদের উদ্দেশে নিজের সমবেদনা ব্যক্ত করেছেন।

১৯৩০ সালে রাজস্থানের অজমের শহরে জন্ম হয় বাসু চ্যাটার্জির। তাঁর মৃত্যুতে এপার-ওপার দুই বাংলায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

বাসু চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে এক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস বলেন, ‘প্রিয়জনের মৃত্যুর সংবাদ অনেক বেদনাদায়ক। আজ সকালে ঘুম ভেঙে এমন একটি মানুষের মৃত্যু সংবাদ শুনব, আশা করিনি। তাঁর কাছে আমি অনেক পেয়েছি, অনেক কিছু শিখেছি তাঁর কাছ থেকে। ভারতের এক বন্ধুর কাছ থেকে মৃত্যুর খবরটা জানতে পারি সকালে। খবরটা শুনে খুবই মর্মাহত হয়েছি। হঠাৎ বৃষ্টি শুধু আমার কাছে নয়, দুই বাংলার দর্শকের কাছেও স্পেশাল।’

ভারতের পরিচালক মধুর ভণ্ডারকর এ দিন টুইটারে লেখেন, ‘প্রবাদপ্রতিম পরিচালকের মৃত্যুতে গভীত ভাবে শোকাহত। তাঁর সুক্ষ্ম রসবোধ এবং সহজ করে ছবির গল্প বলার ক্ষমতা সারা জীবন মনে থেকে যাবে।’

পরিচালক অশ্বিনী চৌধুরী লেখেন, ‘রেস্ট ইন পিস বাসুদা। পরিবারের প্রতি সমবেদনা।’

এই খবর শোনার পর পরিচালক সুজিত সরকার বলেছেন, ‘বাসু চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আমি প্রথম সহ পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলাম। একটি টিভ ইসিরিয়ালের শুট ছিল, দিল্লির সিআর পার্কে। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’

তাঁর পরিচালিত বিখ্যাত সিনেমাগুলি হল 'সারা আকাশ', 'পিয়া কে ঘর', 'খাট্টা মিঠা', 'চক্রব্যুহ', 'বাতো বাতো মে', 'জিনা ইহা','আপনে পেয়ারে'। দূরদর্শনে প্রচারিত জনপ্রিয় টিভি সিরিজ 'ব্যোমকেশ বক্সী' এবং 'রজনি' -ও তাঁরই পরিচালনা।

বলিউডের বাণিজ্যিক ছবির জামানায় বাস্তবকে সিনেপর্দায় তুলে ধরেছিলেন বাসু চট্টোপাধ্যায়। সত্তরের দশকে ভিন্ন ধারার ছবির এক নিদর্শন রেখেছিলেন তিনি। অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খন্না, দেব আনন্দ, মিঠুন চক্রবর্তী পাশের স্টার বা হিরো নয় মানবিক নায়ক হয়ে উঠেছিলেন তাঁর ভাবনায়।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]