দীর্ঘ দুই বছর পর স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন । গত ২৫ মার্চ জামিনে মুক্তি পাওয়ায় পর গুলশানের নিজ বাসা ফিরোজায় ওঠেন তিনি। সেখানেই পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করবেন বিএনপি নেত্রী। নিজের বাসায় ঈদ করলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকবে না। দলীয় নেতাকর্মীদেরও বাসায় আমন্ত্রণ থাকবে না। তবে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে ঈদের দিন বেগম জিয়ার সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, প্রতিবছর ঈদের আগে বা পরে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলী রহমান সিঁথি ও মেয়ে জাহিয়া রহমান দেশে আসতেন ঈদ করতে। এবছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় তারা দেশে আসতে পারছেন না। তবে দেশে আসতে না পারলেও শাশুড়ির জন্য বিভিন্ন খাবার ও পোশাক পাঠিয়েছেন শর্মিলী রহমান। তবে বিএনপির সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন স্কাইপিতে বড় ছেলে তারেক রহমান ও পরিবার এবং আরাফাত রহমান কোকোর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন খালেদা জিয়া।
করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ মানুষ তো বটেই, দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও খালেদা জিয়া ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন না জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোনো প্রোগ্রাম থাকছে না। দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন না ম্যাডাম। এখন মূলত যার যার জায়গায় সেফ থাকাটাই বেশি জরুরি। সে কারণে ঈদ উপলক্ষে ম্যাডামের কোনো প্রোগ্রাম রাখা হয়নি। তবে দেশবাসীকে ম্যাডাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সাজা হওয়ার পর কারা হেফাজতে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। চলতি বছরের ২৫ মার্চ মুক্তি পাওয়ার আগে টানা চারটি ঈদ কারা হেফাজতেই কাটিয়েছেন তিনি। মুক্তি পাওয়ার পর থেকে তিনি রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় আছেন।
এর আগে এক-এগারোর সময়েও দুই ঈদে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া।