480

05/15/2024 রাজশাহী ও গাইবান্ধায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ২০৫৩ জন

রাজশাহী ও গাইবান্ধায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ২০৫৩ জন

সময় নিউজ ডেস্ক

২৩ এপ্রিল ২০২০ ০৩:০৫

রাজশাহীতে এক করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ২১ জন চিকিৎসকসহ ৪২ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গাইবান্ধার সাত উপজেলায় বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ২ হাজার ১১ জন।

রাজশাহীতে রামেক হাসপাতালের ২১ জন চিকিৎসকসহ ৪২ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডটি লকডাউন করা হয়েছে। এ তথ্য দিয়ে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, করোনা শনাক্তের জন্য কোয়ারেন্টিনে পাঠানো সবার নমুনা সংগ্রহ করা হবে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. বুলবুল হাসান জানান, বুধবার ১৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্যদের আজ নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী জানান, গত ১৭ এপ্রিল হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে বাঘা উপজেলার ৮০ বছর বয়সী এক রোগী ভর্তি হয়। তিনি জ্বর ও প্রস্রাবের সমস্যার কথা বলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তার এক্স-রে করা হলে চিকিৎসকদের সন্দেহ হয়। তাকে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। সোমবার তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর রাতে করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। ফলে ওই রোগীর সংর্স্পশে আসা ২১ জন চিকিৎসক, ১২ জন নার্স এবং ৯ জন আয়া ও পরিচ্ছন্নকর্মীকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসকদের পর্যটন মোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন স্থানে প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন করোনা নির্ণয় ও চিকিৎসক টিমের প্রধান ডা. আজিজুল হক আজাদ। তাছাড়া রামেক হাসপাতালে করোনাভাইরাসের রাজশাহীর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের ব্রিফিংও বন্ধ করা হয়েছে। তবে সেটি অনলাইনে করার চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানান এ চিকিৎসক।

এদিকে, গাইবান্ধায় গত ২৪ ঘন্টায় বুধবার নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হয়েছেন ৪৬ জন। এনিয়ে জেলার সাত উপজেলায় বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ২ হাজার ১১ জন। এরমধ্যে সুন্দরগঞ্জে ৪৮, গোব্দিন্দগঞ্জে ৩৫৪, সদরে ৩৩৩, ফুলছড়িতে ৪২২, সাঘাটায় ৫২১, পলাশবাড়িতে ২৬, সাদল্লাপুর উপজেলায় ৩০৭ জন। নমুনা পরীক্ষার ফলাফল না জানা পর্যন্ত তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। কোয়ারেন্টিন শেষে এ পর্যন্ত ছাড়প্রাপ্ত হয়েছেন মোট ৩৪৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন ১১ জন। বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ১১৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ জন। এ পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ জন। এছাড়া গত ১ মার্চ থেকে বিদেশ প্রত্যাগত রয়েছেন ৯শ’ ২৯ জন। এরমধ্যে বিদেশ প্রত্যাগত ব্যক্তি ৪৪৪ জনের ঠিকানা ও অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৪৮৫ জন বিদেশ প্রত্যাগত ব্যক্তির অবস্থান এখনও চিহ্নিত করতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। গাইবান্ধা সিভিল সার্জন অফিসের করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত কন্ট্রোল রুম থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]