স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রেখেই মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার ঘেরাটোপে যেন সর্বসাধারণের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র বড়দিন এবং ইংরেজি বর্ষ বিদায় ও নববর্ষ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পবিত্র বড়দিন যেন ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসব মুখর পরিবেশে পালিত হয় সে লক্ষ্যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
ঢাকা মহানগরীতে ৭৩টি চার্চে বড়দিন উপলক্ষ্যে ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন করবেন খ্রিষ্টান ধর্মানুসারীরা। এ উপলক্ষ্যে যেকোনো গুজব, অপপ্রচার রোধে সাইবার পেট্রোলিং জোরদার করার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, সামনে আমাদের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট রয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে যেন কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া মোটরকার রেসিং থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি নগরবাসীকে অনুরোধ জানান। থার্টি ফার্স্ট নাইটে কেউ মোটর রেসিং করলে তাদের গাড়ি জব্দ করা হবে।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) মো. সরওয়ার (অতিরিক্ত আইজি) বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে যে কোনো অনুষ্ঠানের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো রকম শৈথিল্য প্রদর্শন করা যাবে না। পটকা ও বিস্ফোরক ক্রয় বিক্রয় যেন বন্ধ থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) শফিকুল ইসলাম বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে কোনো রকম আতশবাজি ও ফানুস উড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
সভায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতারাসহ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আনিছুর রহমান, বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিসহ ডিএমপির যুগ্ম কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।