453

05/18/2024 পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেশি করে খাদ্য উৎপাদন করুন: প্রধানমন্ত্রী

পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেশি করে খাদ্য উৎপাদন করুন: প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা

২০ এপ্রিল ২০২০ ১৮:০৫

করোনা দুর্যোগ ও দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেশি করে খাদ্য উৎপাদনের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সবাই নির্দেশনা মেনে চলুন। নিজে সুরক্ষিত থাকার পাশাপাশি অপরকে সুরক্ষিত রাখুন। এ ভাইরাসের যাতে না ছড়ায় সেজন্য সবাই সতর্ক থাকুন।

সোমবার (২০ এপ্রিল) সকালে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাসমূহের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, করোনা সারা বিশ্বে বিরাট একটা সমস্যার সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশেও এর করাল থাবা এসে পৌছেঁছে। আমরা ১৯ এপ্রিল নাগাদ ২৩ হাজার ৯৪১ জনকে পরীক্ষা করেছি। এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৪৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৯১ জন।

শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে নিজেকে সুরক্ষিত করতে হবে। আমরা যদিও চেষ্টা করে যাচ্ছি, অনেকেই (লকডাউন) ভালোভাবে মানতে চায় না। দোষ দেওয়ারও কিছু নেই। কারণ শনাক্ত না হলে বোঝা যায় না কার দেহে এই ভাইরাস আছে।

ছাত্রলীগের প্রশংসা: সারাদেশে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ায় ছাত্রলীগের প্রশংসা করলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, জমির ধান এখন পাকতে শুরু করেছে। ধানকাটা নিয়ে সমস্যা যখন সৃষ্টি হল তখন আমি ছাত্রলীগকে নির্দেশনা দিয়েছি। তারা নিজ নিজ এলাকায় কৃষকের পাশে দাঁড়াচ্ছে। ধান কেটে দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমার ছাত্রলীগের ছেলেরা করোনা দুর্যোগে এগিয়ে এসেছে। তারা কৃষকের ধান কেটে সহযোগীতা করছে। নিজেরা ফর্মুলা নিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানিয়েছে এবং বিতরণ করেছে।"

তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নিজেরাই হ্যান্ডস্যানিটাইজার বানিয়ে বিতরণ করছে। বাড়ি বাড়ি খাদ্য পৌঁছে দিচ্ছে। এ জন্য ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ। শুধু ছাত্রলীগই নয়, আমাদের সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য কিনবে সরকার: চলতি বোরো মৌসুমে আগের বছরের তুলনায় বেশি চাল, ধান, আতপ ও গম সংগ্রহ করা হবে। প্রায় ২১ লাখ মেট্রিক টনের খাদ্য সংগ্রহ করবে সরকার বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমরা কিন্তু ধান সংগ্রহ করার ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়ে দিয়েছি। সাধারণ বোরোতে আগে যা আমরা নিতাম, তার থেকে অনেক বেশি আমরা নিচ্ছি। এখন প্রায় আমরা ৮ লাখ মেট্রিক ধান, ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন আতপ এবং ৮০ হাজার মেট্রিক টন গমসহ সর্বমোট ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য আমরা সংগ্রহ করব। এটা সরকার কিনে রাখবে। তাতে আমাদের আর ভবিষ্যতে কোনো অভাব হবে না। আমরা মানুষকে খাবার সহযোগিতা দিতে পারব।

‘আমাদের খাদ্যের কোনো অভাব হবে না। তাছাড়া আমাদের এখন ধান উঠছে। ধান কাটাও শুরু হয়ে গেছে। আগামীতেও ফসল উঠবে। সেই সঙ্গে তরিতরকারি ফলমূল যে যা পারেন উৎপাদন করবেন’-যোগ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছি। যা জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। কৃষিখাতে আরও বেশি। মাত্র ৪ শতাংশ সুদে আমরা কৃষি ঋণ দিচ্ছি। কৃষি মানে শুধু ধান ফলানো না। একেবারে মৎস্য, পোল্ট্রি থেকে শুরু করে ফলমূল, ফুল যা যা আছে-সবকিছু মিলেই এই প্যাকেজটা। কাজেই কোনো সেক্টর বাদ যাচ্ছে না।’

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]