ওষুধ কোম্পানি থেকে বিক্রয় কমিশন পুনর্নির্ধারণ করে ২৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ ব্যবসায়ীরা কোনো ওষুধ উৎপাদন করে না। ওষুধ কোম্পানি ওষুধ উৎপাদন করে এবং দোকানদাররা জনসাধারণের কাছে ওষুধ বিক্রি করে। এই উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তার ওষুধ বিক্রির জন্য বিক্রেতাদের ১৯৪০ সাল থেকে ১৫ শতাংশ কমিশন দিয়ে আসছিল, যা এখন কমে ১২ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার কর্তৃক ট্রেড লাইসেন্স ফি, ড্রাগ লাইসেন্স ফি, ফার্মেসি কোর্স ফি, ট্যাক্স/ভ্যাট ফি ইত্যাদি বহুগুণ বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া ওষুধ ব্যবসায়ীদের দোকানের পজিশন, দোকান ভাড়া, স্টাফ ও ওষুধের দোকানে বাধ্যতামূলক ফার্মাসিস্ট রাখা ও তার বেতন, দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুৎ বিল, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাসহ সর্বস্তরে খরচ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়ীদের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করে ব্যবসা পরিচালনা করা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে কমিশন বৃদ্ধির লিখিত দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সঙ্গে আমরা একাধিকবার আলোচনা সভা করেছি। এছাড়াও বিগত ২২ মে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে একযোগে সারা বাংলাদেশে মানববন্ধন করেছি। তারপরও আমাদের এই যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দাবি মানা না হলে দেশজুড়ে কঠোর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।