43976

10/20/2025 আমরা অবশ্যই গাজায় পৌঁছাবো, ইসরায়েলি হামলায় পিছপা হবো না

আমরা অবশ্যই গাজায় পৌঁছাবো, ইসরায়েলি হামলায় পিছপা হবো না

নিজস্ব প্রতিবেদক

২ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:০২

ফ্রিডম ফ্লোটিলার যাত্রী, আলোকচিত্রী ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম জানিয়েছেন, তারা অবশ্যই গাজায় পৌঁছাবেন এবং ইসরায়েলি হামলায় কোনোভাবেই পিছপা হবেন না।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ফ্রিডম ফ্লোটিলার বহর সমুদ্র থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান তিনি।

ভিডিও বার্তায় শহিদুল আলম বলেন, আমরা গতকাল ঝড়ের কবলে পড়েছিলাম। তবে এখন ঝড় কিছুটা কমেছে। ক্যাপ্টেন দ্রুতগতিতে জাহাজ নিয়ে ঝড়ের আগে নিরাপদ স্থানে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন। আমরা বর্তমানে ফ্লোটিলার শেষ অংশে রয়েছি। আমাদের আগে যেসব নৌযান ছিল, তারা ইতোমধ্যে গাজার কাছাকাছি চলে গেছে।

তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে ইসরায়েলি হানাদাররা আক্রমণ চালিয়েছে। তবে আমরা এখনো সেই স্থানে পৌঁছাইনি। সমুদ্রে একটি তুরস্কের নৌযান দেখেছিলাম, যদিও তারা দূরে অবস্থান করছিল। আজ আমরা আরও কাছাকাছি যাবো। অবশ্যই গাজায় পৌঁছাবো। ইসরায়েলি হামলায় আমরা কোনোভাবেই পিছপা হবো না।

শহিদুল আলম জানান, সমুদ্র এখনো উত্তাল এবং ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। তবে সকাল থেকে বৃষ্টি ও বিদ্যুতের ঝলকানি কমে এসেছে। আমরা আমাদের পথেই এগিয়ে যাচ্ছি।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা হলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকর্মীদের উদ্যোগ, যার লক্ষ্য ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধ ভেঙে সরাসরি গাজায় ত্রাণ ও সহায়তা পৌঁছানো। এই অভিযান প্রথম বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসে ২০১০ সালে, যখন তুরস্কের মারমারা জাহাজে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কয়েকজন নিহত হন। এরপর বিভিন্ন সময়ে নানা দেশের শান্তিকর্মীরা একই উদ্দেশ্যে যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন।

সেপ্টেম্বরে স্পেন থেকে প্রায় ৪৫টি জাহাজ নিয়ে গঠিত‌‌ ‌‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহর যাত্রা শুরু করেছে এবং এতে অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন দেশের মানবাধিকারকর্মী, রাজনীতিক ও সাংবাদিকরা। যেখানে আছে প্রায় ৪৫টি জাহাজ নিয়ে গঠিত‌‌ ‌‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহর গত মাসে স্পেন থেকে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। তাদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও আছেন।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধ ভাঙাই ছিল এই নৌবহরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। তারা গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো ও অবরোধের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তুলতে চান। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধে ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

বুধবার থেকেই ইসরায়েলি নৌবাহিনী ফ্লোটিলার বহরে থাকা নৌযান আটক করতে শুরু করে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এসব নৌযান অবরোধের আওতায় থাকা জলসীমায় প্রবেশ করতে পারবে না। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, ইতোমধ্যে অন্তত ৩৯টি জাহাজ ও নৌযান আটক করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে গ্রেটা থুনবার্গের জাহাজও আছে।

এদিকে ফ্লোটিলার ট্র্যাকিং সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪৫টি নৌযানের মধ্যে ৩০টিরও বেশি আটক হয়েছে বা আটক করার চেষ্টা চলছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]