43771

09/26/2025 ‘ভারতের শাসক শ্রেণির উন্নয়ন নীতিই নদীর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করছে’

‘ভারতের শাসক শ্রেণির উন্নয়ন নীতিই নদীর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:১৭

নদী গবেষক ও পরিবেশবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘ভারতের শাসক শ্রেণির গৃহীত উন্নয়ন নীতির কারণেই অভিন্ন নদীগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একের পর এক বাঁধ নির্মাণ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, ভারতের জনগণের জন্যও মারাত্মক সংকট তৈরি করছে।’

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব নদী দিবস–২০২৫ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে নোঙর ট্রাস্ট আয়োজিত ‘আত্মাসীমান্ত নদী এবং নদী সংস্কৃতি’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, অভিন্ন নদীর পানির প্রবাহের ওপর সবারই অধিকার রয়েছে। এই প্রবাহের ওপর কোনো পক্ষই বাধা সৃষ্টি করতে পারে না। অথচ বাংলাদেশে নদী সমস্যা সমাধানে বিগত ৫৪ বছরে কোনো সরকারই যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। মাঝেমধ্যে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ছিল অপ্রতুল। যৌথ নদী কমিশন কেন কার্যকর হয় না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থার ওপর সরকারের অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা আমাদের সক্ষমতার ঘাটতি প্রকাশ করে। অথচ ১৯৯৭ সালের আন্তর্জাতিক পানি কনভেনশনে স্বাক্ষর করা বাংলাদেশের জন্য সহজ একটি কাজ ছিল। ভারত যেহেতু এখনো স্বাক্ষর করেনি, তাই বাংলাদেশের স্বাক্ষর করা জরুরি ছিল।

আনু মুহাম্মদ বলেন, ভারতের শাসক শ্রেণি যেভাবে বাঁধ নির্মাণ করে নদীর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করছে, তার পরিবর্তন ছাড়া নদী সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ভারতের জনগণেরও মুক্তি নেই এ নীতির পরিবর্তন ছাড়া। তাই ভারতের ভেতরে যারা বিকল্প চিন্তা করছে, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সংহতি গড়ে তোলা জরুরি।

অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন নোঙর ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সুমন শামস। তিনি নদীগুলো রক্ষায় জাতীয় নদী দিবস ঘোষণার প্রস্তাব করেন। ২৩ মে জাতীয় নদী দিবস ঘোষণার মাধ্যমে নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও নদী রক্ষায় জনসচেতনতা বাড়ানো সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সভায় আরও বক্তব্য দেন মাহবুব সিদ্দিকী, শেখ রোকন, তোফায়েল আহমেদ, মিহির বিশ্বাস, হালিমদাদ খান, কামরুজ্জামান ও শর্মিলা খানম।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]