কয়েক বছর আগে ক্লিন শেভ ছিল পুরুষদের মুখের ফ্যাশনের প্রধান ধারা। তখন ক্লিন শেভকে স্মার্টনেসের প্রতীক মনে করা হতো। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধারা বদলেছে। এখন দাড়ি হচ্ছে নতুন ফ্যাশন ট্রেন্ড।
হলিউড-বলিউড অভিনেতা, ক্রিকেটার এবং ফুটবল খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেকেই দাড়িকে ব্যক্তিত্ব ও স্টাইলের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করছেন। লিওনেল মেসি এবং বিরাট কোহলির দাড়ি তাদের স্বতন্ত্র স্টাইলের পরিচয় হিসেবে পরিচিত।
এখন অনেক পুরুষই দাড়ি রাখছেন, যা এক ধরনের ফ্যাশনের নতুন ধারা। আর এর পেছনে একটি বিশেষ দিনও রয়েছে—আজ (৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব দাড়ি দিবস। যদিও অদ্ভুত মনে হলেও এই দিবসের সূচনা ২০১০ সালে। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম শনিবার বিশ্বব্যাপী এটি পালিত হয়।
দাড়ি কেবল সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, এটি একজন পুরুষের ব্যক্তিত্ব ও রুচিও ফুটিয়ে তোলে। দাড়ির স্টাইল ও কাট-ছাঁট পরিবেশ, পেশা এবং ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী আলাদা হতে পারে। স্টাবল কাট, ট্রিমড কাট, করপোরেট বিয়ার্ড বা লুম্বারজ্যাক বিয়ার্ড সবচেয়ে জনপ্রিয়। তবে দাড়ি রাখার পাশাপাশি সঠিক যত্নও জরুরি, না হলে ত্বকের সমস্যা ও জটের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
দাড়ির যত্নের সহজ উপায়-
১. নিয়মিত পরিষ্কার করুন
দাড়ি নিয়মিত পরিষ্কার রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহে ২-৩ বার দাড়ি শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। কন্ডিশনার ব্যবহার করলে দাড়ি আরও নরম ও স্বাস্থ্যসম্মত থাকবে। এছাড়া প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ ক্লিনজারও ব্যবহার করতে পারেন, যা স্যালিসাইলিক ও ল্যাকটিক অ্যাসিডযুক্ত হলে আরও ভালো।
২. ময়েশ্চারাইজ করুন
দাড়িতে তেল ব্যবহার করলে তা ময়েশ্চারাইজড থাকে। বাজারে অনেক ধরনের বিয়ার্ড অয়েল ও ক্রিম পাওয়া যায়। চাইলে ঘরেই বানাতে পারেন:
২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
২ টেবিল চামচ নারিকেল তেল
২ টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল
সব একসাথে মিশিয়ে দাড়িতে লাগালে তা নরম, সুগন্ধি ও পুষ্টিকর হবে। ত্বকের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করবে।
৩. ঘরোয়া মাস্ক ব্যবহার করুন
দাড়ির স্বাস্থ্য ও নরমতা বজায় রাখতে ঘরোয়া মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ:
৪ টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার বা লেবুর রস
২ টেবিল চামচ নারিকেল তেল
এই মাস্ক ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে এবং দাড়ি স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়া অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করা যায়।
৪. নিয়মিত আঁচড়ানো
দাড়ি আঁচড়ালে জট পড়ে না এবং শেপও ঠিক থাকে। ছোট চিরুনি ব্যবহার করাই উত্তম।
দাড়ি রাখার উপকারিতা
দাড়ি শুধুই স্টাইল নয়, স্বাস্থ্যকরও। এটি মুখের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে ঢুকতে বাধা দেয়, ফলে গলার রোগের ঝুঁকি কমে। তাছাড়া দাড়ি শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করে।