425

05/18/2024 ওষুধসহ নিত্যপণ্য উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে পাবনা বিসিক

ওষুধসহ নিত্যপণ্য উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে পাবনা বিসিক

সময় নিউজ ডেস্ক

১৮ এপ্রিল ২০২০ ০২:৫২

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যসহ অন্যান্য উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছ বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এর পাবনা শিল্প নগরীর শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ।

শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনায় প্রতিরোধমূলক সকল স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এসকল কারখানা চালু রয়েছে যা এ শিল্পনগরীর কর্মকর্তারা নিয়মিত মনিটরিং করছেন।

পাবনা বিসিক শিল্প নগরীর সূত্রে জানা যায়, এখানে ছোট-বড় ২০৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে বর্তমানে ১৬৭টি শিল্প কারখানা চালু রয়েছে এ শিল্পনগরীতে। দেশের শীর্ষ স্থানীয় জীবনরক্ষাকারী ওষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিটিউক্যালসের পাঁচটি ইউনিট পাবনা বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত। ইউনিটগুলো হলো, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস (প্রা.) লি. (কেমিক্যাল ডিভিশন), স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ (আয়ুর্বেদিক ডিভিশন), স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লি. (এগ্রোভেট ডিভিশন), স্কয়ার হারবাল এন্ড নিউট্রাসিউটিক্যালস লি. এবং স্কয়ার ফার্মা প্যাকেজেস (প্রা.) লি.।

দেশীয় বাজারে ওষুধ সরবরাহ করা ছাড়াও স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস ইউরোপ, আফ্রিকা ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে বছরে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি করে থাকে বলে জানা গেছে। এ শিল্পনগরীতে বর্তমানে উৎপাদনরত অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে রয়েছে ১২০টি খাদ্য ও সহজাত (পশু খাদ্য) পণ্য যেমন- চাল, ডাল, সরিষার তেল, আটা-ময়দা, সুজি, সেমাই, পশু খাদ্য, ভূষি, খৈল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ১৪টি হালকা প্রকৌশল যন্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ৪টি সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ৪টি রাসায়নিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, দুটি প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য ধরনের বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান।

শিল্পনগরী কর্মকর্তা কামাল পারভেজ জানান, বিসিক শিল্পনগরী পাবনাতে দৈনিক প্রায় ৫০০ টন চাল, ৩৫০-৪০০ টন বিভিন্ন ধরনের ডাল এবং সাত থেকে আট টন সরিষার তেল উৎপাদিত হয় যা উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশে সরবরাহ করা হয়।

এছাড়া, পাবনা বিসিক শিল্পনগরীতে সরকার পরিচালিত একটি হাঁস-মুরগী খামার (হ্যাচারী) রয়েছে। হ্যাচারীটি থেকে বছরে বাচ্চা ফুটানোর জন্য প্রায় ৩ লাখ ডিম ও প্রায় ৩ লাখ ১দিনের মুরগীর বাচ্চা স্থানীয় মুরগীর খামারগুলোতে সরবারহ করা হয় যা স্থানীয় আমিষের চাহিদা পূরণে মূল্যবান ভূমিকা রাখছে।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]