কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদী থেকে আবারও একটি মাছ ধরার ট্রলারসহ বাংলাদেশি ৭ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।
বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার শেষে টেকনাফে ফেরার পথে সোমবার (২৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপের নাইক্ষ্যংদিয়া নামক নাফনদীর মোহনা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাটে ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম।
তিনি বলেন, ট্রলারটির মালিক টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল মোনাফের ছেলে উমর ছিদ্দিক। মাছ ধরার ট্রলারটিতে ৭ জন মাঝিমাল্লা ছিলেন।
ওই ট্রলারের মাঝি এবাদুল্লাহর বরাত দিয়ে সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, সাগরে মাছ শিকার শেষে টেকনাফে ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপের পূর্ব-দক্ষিণে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনাসংলগ্ন নাইক্ষ্যংদিয়া নামক এলাকায় পৌঁছালে আরাকান আর্মির সদস্যরা স্পিডবোটে তাদের ধাওয়া করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। এরপর ট্রলারসহ তাদের মিয়ানমারের ফাতংজা খালে নিয়ে যাওয়া হয়। ধাওয়ার সময় মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান ট্রলারের মাঝি।
এনিয়ে গত ২০ দিনে মোট ৪০ জন জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে রবিবার দুটি ট্রলারসহ আরও ১৪ জন জেলে, শনিবার একটি ট্রলারসহ ১২ জন জেলে, ১২ আগস্ট ট্রলারসহ ৫ জন জেলে এবং ৫ আগস্ট বিহিঙ্গি জাল ও নৌকাসহ ২ জন জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি ২৪৪ জন বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের কমান্ডার ও টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, গত কয়েক দিন ধরে আরাকান আর্মির সদস্যরা বাংলাদেশি ট্রলারসহ জেলেদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ওই এলাকায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষে হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
এসএন/রুপা