40783

08/18/2025 দাবানলে বিপর্যস্ত দক্ষিণ ইউরোপ: বাড়ছে হতাহত, ঘরছাড়া হাজারো মানুষ

দাবানলে বিপর্যস্ত দক্ষিণ ইউরোপ: বাড়ছে হতাহত, ঘরছাড়া হাজারো মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৭ আগস্ট ২০২৫ ১৩:০৫

অস্বাভাবিক গরম, দীর্ঘমেয়াদি খরা ও শুষ্ক জ্বালানি মজুদের কারণে দক্ষিণ ইউরোপজুড়ে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে স্পেনে তিনজন এবং পর্তুগালে একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গ্রিস থেকে শুরু করে পর্তুগাল পর্যন্ত একযোগে জ্বলতে থাকা এসব দাবানলকে বিশেষজ্ঞরা অঞ্চলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহগুলোর একটি বলে আখ্যা দিচ্ছেন। চলমান রেকর্ড-ভাঙা তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে অন্তত পাঁচটি দেশ আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সহায়তার অংশ হিসেবে অগ্নিনির্বাপক বিমান পাঠিয়েছে। ইতোমধ্যে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।

গ্রিসে পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। টানা পাঁচ দিন ধরে কিয়োস দ্বীপে আগুন জ্বলছে, ফলে বহু মানুষকে সেখান থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। রাজধানী এথেন্স ও আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

স্পেন সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। দেশটির জরুরি পরিষেবা বিভাগের মহাপরিচালক ভার্জিনিয়া বারকোনেস জানিয়েছেন, বর্তমানে অন্তত ১৪টিরও বেশি বড় দাবানল নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে গণপরিবহন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে—বন্ধ করতে হয়েছে একাধিক মহাসড়ক, উচ্চগতির রেল পরিষেবাও স্থগিত করা হয়েছে।

ইউরোপীয় বন দাবানল তথ্য ব্যবস্থার হিসাব অনুযায়ী, এ বছর স্পেনে ইতোমধ্যে ৩ লাখ ৯০ হাজার একরের বেশি জমি দাবানলে পুড়ে গেছে। সম্প্রতি এক স্বেচ্ছাসেবী দমকলকর্মীর মৃত্যুর খবরও নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। দেশটিতে অগ্নিসংযোগের সন্দেহে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

প্রতিবেশী পর্তুগালেও পরিস্থিতি শোচনীয় আকার ধারণ করেছে। সেখানে সাতটিরও বেশি বড় দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় চার হাজার দমকলকর্মী কাজ করছেন। জরুরি পরিস্থিতির কারণে দেশটিতে রোববার রাত পর্যন্ত সতর্কতা বহাল রাখা হয়েছে।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]