গত মৌসুমের প্রায় সব প্রতিযোগিতায় দারুণ ফর্মে ছিল বার্সেলোনা। যদিও লম্বা সময় দাপট দেখালেও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের যাত্রাপথ থামে সেমিফাইনালে। যেখানে ইন্টার মিলানের কাছে ৪-৩ গোলে হারের ম্যাচে রেফারির একাধিক সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। যার শাস্তি হিসেবে এসেছে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা এবং ২০ হাজার (২৮ লাখ টাকার বেশি) ইউরো জরিমানা।
কেবল তিনিই নন, একই কারণে সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা ও নিষিদ্ধ হয়েছেন কাতালান ক্লাবটির সহকারী কোচ মার্কাস সর্গেরও। এ ছাড়া জরিমানা গুনতে হচ্ছে বার্সেলোনার দুই তারকা ফরোয়ার্ড লামিনে ইয়ামাল ও রবার্ট লেভান্ডফস্কিকেও। পাশাপাশি সমর্থকদের লাগামহীন উদযাপনের কারণে আরও ৭৭৫০ ইউরো জরিমানা হয়েছে ব্লুগ্রানাদের। গতকাল (শুক্রবার) উয়েফা গভর্নিং বডির ডিসিপ্লিনারি কমিটি এই শাস্তির ঘোষণা দিয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে অ্যাগ্রিগেটে ৪-৩ ব্যবধানে ইন্টার মিলানের কাছে হেরেছিল স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। গত মে মাসে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে ইন্টারের কাছে হারের দিন বার্সার জার্মান কোচ ফ্লিক রেফারির বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। একইভাবে ক্ষিপ্ত ছিলেন সহকারী কোচ মার্কাস সর্গ। সে কারণে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া এই দুই কোচ আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে বার্সার ডাগআউটে দাঁড়াতে পারবেন না।
একইসঙ্গে দুই তারকা লামিনে ইয়ামাল ও লেভান্ডফস্কি শাস্তি পেয়েছেন অ্যান্টি-ডোপিং কর্মকর্তার নির্দেশাবলী না মানায়। তাদের দুজনকেই ৫ হাজার ইউরো করে জরিমানা করা হয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ লাখ টাকার কিছু বেশি। এ ছাড়া মাঠে সমর্থকরা বিভিন্ন বস্তু নিক্ষেপ করায় ৫ হাজার ২৫০ ইউরো এবং আতশবাজি পোড়ানোয় ২ হাজার ৫০০ ইউরো জরিমানা করা হয়েছে বার্সেলোনাকে। সবমিলিয়ে দর্শকদের আচরণে স্প্যানিশ ক্লাবটিকে ৭৭৫০ ইউরো বা প্রায় ১১ লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে।