মানুষ গোপন, প্রকাশ্য যাই করে না কেন আল্লাহ তায়ালা তার সবই জানেন। মানুষ গোপনে কিছু করার সময় ভেবে থাকে হয়তো কেউ তা দেখছে না বা জানছে না। কিন্তু তাদের এই ধারণা ভুল। আল্লাহর কাছে কোনো কিছুই গোপন থাকে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন—
‘আর অবশ্যই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি এবং তার প্রবৃত্তি তাকে যে কুমন্ত্রণা দেয় তাও আমি জানি। আর আমি তার গলার ধমনী থেকেও অধিক কাছে’। (সুরা কাফ, আয়াত : ১৬)
অর্থাৎ, মানুষ যা কিছু গোপন করে এবং অন্তরে লুকিয়ে রাখে, তা সব কিছুই আল্লাহ জানেন । এবং মানুষের অন্তরে যে ওয়াসওয়াসা (কুমন্ত্রণা) উদয় হয়, যার জ্ঞান ওই মানুষটি ছাড়া আর কারো থাকে না। আল্লাহ সেই কল্পনাগুলোও জানেন।
এক হাদিসে এসেছে যে, মহান আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদীয়মান কুখেয়ালগুলোকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। অর্থাৎ, সেগুলোর উপর কোন ধরপাকড় হবে না, যতক্ষণ না সেগুলো মুখে প্রকাশ অথবা কাজে পরিণত করবে। (বুখারি, মুসলিম)
আল্লাহ তায়ালা মানুষের পাপ-পুণ্য লেখার জন্য ফেরেশতার নিযুক্ত করেছেন। একজন ভালো কাজের হিসাব লেখেন অন্যজন মন্দ কাজের হিসাব লেখেন। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা মানুষের ভালো-মন্দ জানা ও বুঝার জন্য এই ফেরেশতাদের মুখাপেক্ষী নন। এই ফিরিশতাদের তিনি নিযুক্ত করেছেন শুধু প্রমাণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, না কি তারা মনে করে, আমি তাদের গোপনীয় বিষয় ও নিভৃত সলাপরামর্শ শুনতে পাই না? অবশ্যই হ্যাঁ, আর আমার ফেরেশতাগণ তাদের কাছে থেকে লিখছে। (সুরা জুখরুফ, আয়াত : ৮০)
অর্থাৎ, গুপ্ত কথাবার্তা যা মানুষ নিজেদের অন্তরে লুকিয়ে রাখে অথবা নির্জনে চুপেচুপে বলে কিংবা আপোসে যে কানাকানি করে আল্লাহ তায়ালা সব শুনেন ও জানেন।